ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নওগাঁয় রাতের অন্ধকারে সড়কে পথরোধ করে দুটি মোটরসাইকেল ছিনতাই
খেলাধুলা যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখে:এমপি প্রার্থী রাশেদুল আলম সবুজ
বেতাগীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক দ্বিতীয় রাউন্ডের বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
জীবননগরে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
আমতলীতে স্কুলের ওয়াল ভেঙ্গে নির্মান সামগ্রী চুরি
ঘোড়াঘাটে সেনাক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ঘোড়াঘাটে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকি ৎসা সেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
জলঢাকায় দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক নিরাপত্তা সেমিনার
শেরেবাংলা নগর থানায় নতুন ওসি
শ্যামনগরে নারী কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ
বংশালে পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন, গ্রেফতার ৩
মোরেলগঞ্জে উপজেলা পর্যায় ইভলভ্’র কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ছিনতাইকারী আখ্যায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া মতিউর সম্পর্কে অজানা তথ্য
মোরেলগঞ্জে ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

নড়াইলে সরকারি গাছ কেটে জায়গা দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ

নড়াইলে সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের চাকই গ্রামের মহিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে হিমু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গার গাছ কেটে বিক্রি করা সহ ওই জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি জায়গা থেকে গাছ কেটে দোকান ঘর নির্মাণ করায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারি অতি মূল্যবান সম্পত্তি রক্ষা ও গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে তেমন কোন নজর নেই স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তার। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিক ভাবে জানালে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় ভূমি কর্মকর্তা এসে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছে। গাছ কাটার বিষয়ে কোন মামলা না হওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রিত গাছের বিষয়ে কেন মামলা হল না এই নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। হিমু বিশ্বাস চাকই গ্রামের এক জন ধূর্ত প্রকৃতির লোক। সরকারি জায়গায় টিন সেটের ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিয়ে অর্থ আয় করছেন তিনি। নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে সরকারি জায়গার মেহগুনি, সিরিজ, রেন্টি গাছ কেটে তা বেপারির নিকট ১লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। সেই জায়গায় ৬ টি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে হিমু বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছ বিক্রি করে আমি খায়নি। গাছ বিক্রির সব টাকা চাকই পুরনো জামে মসজিদ উন্নয়নের জন্য মসজিদ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে দিয়েছি। গাছ গুলো ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আর দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এখানে দোকান ঘর নির্মাণ করেছিলাম পরে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাজ বন্ধ রাখতে বলছে তাই কাজ বন্ধ করে রাখছি।
বিছালি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. বখতিয়ার হোসেন জানান, চাকই মোল্যারহাটে সরকারি জায়গা থেকে গাছ কাটা এবং সরকারি জায়গায় পাকা দোকান নির্মাণের ঘটনা শুনে আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করছি। দোকান ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছি।আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, ইতিমধ্যে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমার কাছে এসেছিল।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, দেবাশীষ অধিকারীর ফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুনঃ