ইসলামী শরীয়া মতে কাজী অফিসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি বিবাহ করে সংসার করছিলেন মোহাম্মদ অসীম ও তার স্ত্রী সুমাইয়া কবির। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা ঠুকে দিলেন স্ত্রী সুমাইয়া কবির।
খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ওই মামলাটি সদর থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশও দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে সদর থানা গত ৯ নভেম্বর পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেছেন যার নং-১৪। তবে বাদি মামলায় কোথাও উল্লেখ করেননি যাকে আসামি করা হয়েছে তিনি তার স্বামী।
খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাদি সুমাইয়া কবিরের দায়ের করা গত ৬নভেম্বরের মিস পিটিশান নং-২৫৯/২৩ সুত্রে দেখা যায় ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ মোহাম্মদ অসীম বাদিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছেন। অথচ তাদের বিবাহের রেজিস্ট্রি কাবিনের সুত্রে দেখা গেছে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল তাদের বিবাহ হয়েছে।
অর্থাৎ মামলা ও বিবাহের কাজগ পর্যালোচনায় দেখা যায় বিয়ের প্রায় দেড় বছর ও দুইমাস পুর্বের পৃথক দুটি তারিখ ব্যবহার করে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে বিয়ের কথা গোপন করে মামলা ঠুকে দিলেন এই স্ত্রী। তবে এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত কোন প্রকার প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ না দিয়ে সরাসরি থানা পুলিশকে এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে তার নাম মোহাম্মদ অসীম (৩৩)। তিনি দেশ টেলিভিশনের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এবষিয়ে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এড. ফরিদ আহমেদ বলেন “প্রাথমিক তদন্তের বিধান আইনেই উল্লেখ করা রয়েছে“। এক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালতেরও ক্ষমতা রয়েছে যে কোন আদেশ দেওয়ার। বিষয়টি এক প্রকার সাংঘর্ষিক হয়ে গেলো।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে, যদি পুলিশের তদন্তে বাদির অভিযোগ অসত্য বলে প্রমানিত হয় সেক্ষেত্রে ১৭ধারার বিধান মতে বাদির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা অর্থাৎ মামলার আইন রয়েছে।
এবিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান-আল মামুন বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশ পেয়ে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। তদন্তসহ আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিজ্ঞ আদালত থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়, আমরা সেটি সঠিকভাবে পালন করে থাকি।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানান গেছে, খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধিন ১১৫/৩০ (খ) নেছারউদ্দিন সড়কের অস্থায়ী বাসিন্দা সুমাইয়া কবির (২১) গত ৬নভেম্বর খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ১নং ট্রাইব্যুনালে মিস পিটিশান নং-২৫৯/২৩ দায়ের করেন।
- ট্রাইব্যুনালের বিচারক বাদির উক্ত পিটিশানটি খুলনা সদর থানা পুলিশকে এফআইআর হিসেবেব রুজু করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে ৯ নভেম্বর পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেছেন যার নং-১৪।