
ফরিদপুর জেলায় চাঞ্চল্যকর তুরাগ হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আজ রবিবার বেলা ১২টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান।
উল্লেখ্য গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুর গ্রামের জামাল মোল্লা এর মেহগনি ও কলা বাগানের মধ্যে তরাগের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এই ঘটনায় তুরাগ এর পিতা মোঃ আলাউদ্দিন হাওলাদার (৬৭) কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করেন।
তারি ধারাবাহিকতা ধরে গত ৬ নভেম্বর এজাহারনামীয় আসামী মোঃ টিপু খা (৩৫) কে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আসামী মোঃ টিপু খাঁ স্বেচ্ছায় ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।
টিপু খাঁর জবানবন্দির সূত্র ধরেগত ১৮ নভেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মো: জুয়েল শেখ (৩৮) কে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ জুয়েল শেখ এর দেওয়া তথ্য মতে ১৯ নভেম্বর রাত আনুমানিক ০১.৩০ মিনিটে এজাহারনামীয় আসামী মোঃ রাজন ওরফে কালা রাজন(২৬) এবং মোঃ সাজন (২৪) কে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি এলাকা হতে গ্রেফতার করেন।আসামী রাজন এবং সাজন এর দেওয়া তথ্যমতে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন পশ্চিম ভাষানচর হতে তদন্তে প্রাপ্ত পলাতক আসামী শাহিন শেখ(৩৭) এর ঘরের ভিতর হইতে ২টি রামদা সহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আসামী কানা তুষার এবং তার সহযোগীদের সাথে তুরাগ এর দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ ও থাকায় গত ১১ অক্টোবর তারিখে দুপুর অনুমান ২:৩০ মিনিটে আসামী কানা তুষার, রাজন, সাজন, টিপু এবং জুয়েল ধুলদি গোবিন্দপুর জামাল মোল্লার কলা বাগানে একত্রিত হয়। তুরাগকে বাগানে ডেকে আনে রাজন। তুরাগ ঘটনাস্থলে আসার পর রাজন এবং কানা তুষার তাকে নেশার দ্রব্য খাওয়ানো হয়। মাদক সেবন শেষে তুরাগকে কুপিয়ে হত্যা করা পরে তার হাত কেটে নিয়ে হয়।
উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ সালাউদ্দিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল সহ ফরিদপুর জেলা পুলিশের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ারনসাংবাদিকবৃন্দ।