
মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে ৪৮ জনকে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি শাখা) থেকে মানিকগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া এক চিঠিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিল করে নতুনভাবে ৪৮ জন সরকারি আইন কর্মকর্তাকে নিয়োগ আদেশ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদকের হাতে আসা ওই চিঠিতে দেখা যায়, উপ সলিসিটর (জিপি- পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত নিয়োগাদেশে পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৪৯২ ধারা এবং দ্য লিগ্যাল রিমেমব্রেন্সার্স ম্যানুয়াল, ১৯৬০ এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ১ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধি ৯ এবং ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধি ১৭ এর বিধান মতে তাদের নামের বিপরীতে উল্লেখকৃত পদে পুনরাদেশ না দেওয়া পযন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ.এফ.এম. নূরতাজ আলম-বাহার ,পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নারী ও শিশু নির্ঘাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হুমায়ন কবির, পাবলিক প্রসিকিউটর ও মুহাম্মদ মাছুদুল হক, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে দেখা যায়, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে আটজন ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে ২৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং জেলা জজ আদালতে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি হিসেব আব্দুল আউয়াল খান কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জেলা জজ আদালত অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি হিসেবে মোঃ ইউনুছ আলী সিকদার ও সাহিদুজ্জামান এবং জেলা জজ আদালত সহকারী সরকারি কৌসুলি হিসেবে ৭ জনের নাম নিয়োগ বিঞ্জপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ.এফ.এম. নূরতাজ আলম-বাহার বলেন, পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে আমাদের বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিজ্ঞ আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।