কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : জাপার সাবেক মহাসচিব ও কুয়াকাটা গ্রান্ড হোটেলের মালিক এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার’র বিরুদ্ধে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে সামাজিক ও ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে একটি চক্র মাঠে নেমেছে। টাকা নিয়ে বায়না রেজিস্ট্রি দিয়ে এখন অস্বীকার করলেও সকল প্রমান সহ কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে মো: ফারুক হোসেন তার পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন। তিনি বলেন,কুয়াকাটা নিবাসী মোঃ ওসমান গনি শেখ, শেখ মোহাম্মদ সোবাহান, শেখ মোহাম্মদ দোজাহান, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হইয়া উল্লেখিত এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে সামাজিক, ব্যবসায়ীক ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধ মিডিয়াতে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে। প্রকৃত বিষয় হলো এই যে, সংবাদ সম্মেলন কারী ওসমান গণী শেখ তাহার কুয়াকাটাস্থ ভূমি বিক্রি করার প্রস্তাব করিলে তাহাতে রুহুল আমিন হাওলাদার রাজি ও সম্মত হইয়া গত ইং ০৫ জুলাই ২০০৬ তারিখে খেপুপাড়া এস. আর সম্পাদিত ও রেজিকৃত ৩০২৪ নং একখানা বায়না দলিল মূলে ০.১২৫০ একর ভূমির দখল বুঝাইয়া দিয়া বায়নাপত্র দলিল রেজিস্ট্রি করিয়ে দেন এবং পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে সাব কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি না দিয়া তাল বাহানা করিয়া আসিতে থাকিলে কোনো উপায়ান্ত না পাইয়া রুহুল আমিন হাওলাদার বায়নার শর্ত মোতাবেক ওসমান গনীর বিক্রি পাওনা টাকা দেশের প্রচলিত আদালতে ১২৬/২০১১ নং চুক্তি প্রবলের মোকদ্দমা দায়ের করেন। যাহা চলমান আছে। ওসমান গনীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ পরিবারের লোকজন রুহুল আমিন হাওলাদারের ক্রয়কৃত জমি একটি চক্রের যোগসাজসে দখল করার চেস্টা চালাচ্ছে। এভাবে বিনিয়োগ কারীদের সাথে আচরণ করলে কুয়াকাটায় দেশ-বিদেশি লোকজন বিনিয়োগ ব্যহত হবে । এতে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।এ ব্যাপারে ওসমান গনি শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার নিজেকে বাঁচাতে এ কথা বলছেন। প্রকৃতপক্ষে তার অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য।