
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ১ নং দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নে হায়দারগঞ্জ রোকেয়া হাসমতেন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ৫৭ বছরের তফিকা বেগমকে আবেগে দশম শ্রেণির একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
১৯৭০ সালে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছে আর প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী তফিকা বেগমের জন্ম সাল ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ ইং তফিকা বেগম কোন সেশনে কোন ক্লাস থেকে এই স্কুলে পড়েছেন এরকম কোন সাল উল্লেখ না করেই শুধুমাত্র জন্ম সাল উল্লেখ করে ৩ বছরের তফিকা কে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ৫৭ বছর বয়সে এসে দশম শ্রেণির প্রত্যয়নপত্র কীভাবে দিলেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোন সদ উত্তর না দিয়ে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, ” আমাকে এই স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ আলী আজগর স্যার ফোন করে বলেন, আমার ভাগিনী গেছে ওকে একটা প্রত্যয়ন পত্র দিন আমি তার অনুরোধে আবেগে প্রত্যয়ন পত্রটি দিয়েছি।
তফিকা বেগম এই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন কীনা এরকম কোন ডকুমেন্টস অধ্যক্ষ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের দেখাতে পারেননি।
তফিকা বেগম বলেন, ” স্কুল যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখনই আমি ঐ স্কুলে ভর্তি হয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি, কত সালে দশম শ্রেণিতে পড়েছি তা মনে নেই। স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তার বয়স ছিল ৩ বছর। তিন বছর বয়সে স্কুলে কীভাবে ভর্তি হয়েছেন? সেই প্রশ্নের কোন সদ উত্তর না দিতে পেরে তফিকা বেগম বলেন, আমার ভাইয়ের বেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাউন্টিংয়ে আছেন তার সঙ্গে কথা বলে পত্যয়নপত্রটি নিয়েছি , আপনাদের সমস্যা কী? ন্যাশনাল লাইফ ইনসুরেন্সে আমি চাকরি করি সেখানে পত্যয়ন পত্র দরকার তাই অধ্যক্ষকে বলে লিখে নিয়েছি। তাতে কী হয়েছে? ”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তফিকা বেগম ঐ প্রত্যয়ন পত্রটি নিয়ে সেই অনুযায়ী একটি এসএসসি পাসের ভুয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে ন্যাশনাল লাইফ ইনসুরেন্সে চাকুরি নিয়েছেন।
এবিষয়ে রায়পুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, এভাবে একটা প্রত্যয়ন দেওয়া ঠিক হয়নি। আমি তাকে বলে দিচ্ছি এরকম যেন আর কোন প্রত্যয়ন না দেয়। এটা নিয়ে নিউজ করে কী হবে? সে নিজের ভুল স্বীকার করেছে এরকম কখনো করবে না। ”
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান খাঁন বলেন, “তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”