
নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী ও ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক এ.এইচ বাহাদুরের বিরুদ্ধে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত চাউল চুরির চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নোয়াখালী জেলা সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম নিজ ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই অভিযোগ তুলে ধরেন।
ফেসবুক পোস্টে আরিফুল ইসলাম লিখেন, কাদির হানিফ ইউনিয়নে সরকার বরাদ্দকৃত চাউল ফ্যাসিবাদের দোসর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রহিমের সাথে হাত মিলিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বাহাদুর চুরি করার সময় ছাত্র জনতা তাদের হাতেনাতে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই ফেসবুক পোস্টে কাদির হানিফ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী ও ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক এ.এইচ বাহাদুরের ছবি ব্যবহার করা হয়।
সমন্বয়ক আরিফুল ইসলামের ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে পুরো জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অনেকেই বলছে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো সক্রিয়,তাই তাদের সঙ্গে এক হয়ে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী জনগনের হক মেরে খাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সদর উপজেলা পিআইও অফিস সুত্রে জানা গেছে, বন্যা পরবর্তী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য কাদির হানিফ ইউনিয়নে প্রতিটি পরিবারের জন্য ৫ কেজি করে ২.০৫ মে.টন ভিজিএফ চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে চাউলগুলো বিতরণের জন্য একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
ভিজিএফ চাউল বিতরণের ট্যাগ অফিসার ও সদর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের কর্মকর্তা মো.আবু নোমান বলেন,ভিজিএফ চাউলগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সুষ্ঠভাবে বিতরণের লক্ষ্যে গত বুধবার ৩০ অক্টোবর স্থানীয় কাদির হানিফ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সমন্বয়ক ও বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সঙ্গে অনৈক্য দেখা দেয়ায় এমন পোস্ট করেছেন সমন্বয়ক।
কাদির হানিফ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী বলেন,ভিজিএফ চাউলগুলো বিতরণে সমন্বয়ক ও বিএনপির সঙ্গে অনৈক্য দেখা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এটাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ডিআই/এসকে