ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নওগাঁয় রাতের অন্ধকারে সড়কে পথরোধ করে দুটি মোটরসাইকেল ছিনতাই
খেলাধুলা যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখে:এমপি প্রার্থী রাশেদুল আলম সবুজ
বেতাগীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক দ্বিতীয় রাউন্ডের বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
জীবননগরে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
আমতলীতে স্কুলের ওয়াল ভেঙ্গে নির্মান সামগ্রী চুরি
ঘোড়াঘাটে সেনাক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ঘোড়াঘাটে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকি ৎসা সেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
জলঢাকায় দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক নিরাপত্তা সেমিনার
শেরেবাংলা নগর থানায় নতুন ওসি
শ্যামনগরে নারী কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ
বংশালে পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন, গ্রেফতার ৩
মোরেলগঞ্জে উপজেলা পর্যায় ইভলভ্’র কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ছিনতাইকারী আখ্যায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া মতিউর সম্পর্কে অজানা তথ্য
মোরেলগঞ্জে ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

শ্রমিক দ‌লের নাম ভা‌ঙ্গি‌য়ে দখ‌লের ক্ষমতা প্রদর্শনে এক শিক্ষার্থী‌কে পি‌টি‌য়ে জখম

গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাদের দোসররা বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা শুরু করেছে। যার পরিপেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা ভাংচুর দখলদারিত্ব শুরু করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় বাসষ্টান্ডে বাসকাউন্টার দখল ভাঙচুরের ঘটনায় মাতুয়াইল হাজী আব্দুল লতিফ ভুইয়া ডিগ্রী কলেজের ইংরেজী বিভাগে অধ্যয়ণরত অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ইব্রাহীম খলিল (জাহিদ) নামের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। জানাযায় সানারপাড় বাসষ্টান্ডে একটি বাস কাউন্টারের মালিক জনৈক সোহাগ আহমেদ। তার কাউন্টারে ইব্রাহিম খলিল (জাহিদ) পড়াশুনার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকুরী করে। গত ৩০ অ‌ক্টোবর দুপুরে নারায়নগঞ্জ শ্রমিক দলের (পরিবহন) পরিচয়ধারী জনৈক আলমগীর হোসেন,পিতা মৃত নেওয়াজ আলী এর নেতৃত্বে ইমরান,পিতা মৃত শাহাবুদ্দিন সহ আরো অজ্ঞাত ১০-১২জনের একটি দল কাউন্টারে এসে প্রথমে কাউন্টার বন্ধ করে চলে যেতে বলে। জবাবে কাউন্টারে কর্মরত ইব্রাহীম তাদের বলেন যে কাকা মালিক সোহাগ সাহেব এর সাথে একটু কথা বলেন,আমি বন্ধ করে দিচ্ছি। এরপর আলমগীর ও তার লোকজন কাউন্টার বন্ধ করার হুমকী দিয়ে চলে যান। কিছুক্ষনপর আলমগীরের নেতৃত্বে থাকা ইমরান নামক ব্যাক্তি দলবল নিয়ে এসে কাউন্টারে কর্মরত ইব্রাহীমকে এলাপাতাড়ি চড় থাপ্পড়,বাশ কাঠ দিয়ে পেটাতে থাকে। তাকে উদ্ধার করতে আসা ইব্রাহীমের ছোট ভাই ও পাশে অবস্থিত এক চায়ের দোকানদার বাবুকেও এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। পেটানোর এক পর্যায়ে মাথা ফেটে গুরুতর জখমের করনে ইব্রাহীম দুর্বল ও অজ্ঞান হয়ে পড়লে দৃর্বৃত্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কাউন্টারের মালিক সোহাগ চা দোকানদার বাবু সহ আরো অনেকে ইব্রাহীমকে তুলে প্রথমে সানারপাড় ইষ্টভিউ হসপিটালে এবং পরবর্তীতে নারায়নগঞ্জের খানপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেন। তার শরীরে ও মাথায় প্রচুর রক্তখর‌েরে কারণে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। মাথায় সাতটি সেলাই করা হয়,হাতের এক্সরে করা হয়। চিকিৎসা পর্যায়ে ডাক্তার মাথার সিটিস্ক্যান করানোর পরামর্শ ও ঔষধ লিখে দেন এবং সম্পূর্ন বেড রেস্টে থাকতে বলেন। চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা যায় মাথায় গুরুতর আঘাতের কারনে আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত তাকে সম্পূর্ন বিশ্রামে থাকতে হবে এবং তারপর ঝুকি বিবেচনা করা হবে। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই বিস্মিত। প্রত্যক্ষদ‌র্শি সবাই জানায় যে ইব্রাহীম ছেলেটা খুবই শান্ত শিষ্ট ও ভদ্র। বাসষ্টান্ডের সবাই তাকে খুব ভালো জানে। সে অনার্স পড়ুয়া একজন ছাত্র। বেকার বসে না থেকে নিজ পড়াশুনার খরচ বহনের জন্য সে পার্টটাইম এই কাউন্টারে চাকুরি করে। কাউন্টার দখল বা কাউন্টার মালিকের সাথে কোন ঝামেলা থেকে থাকলে তাহলে তারা বসে সমাধান করতে পারত। কিন্তু কর্মচারী সাধারন একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে পিটিয়ে আহত করা কোনভাবেই কাম্য নয়। এবিষয়ে কাউন্টারের মালিক জনাব সোহাগ সাহেব ব‌লেন,কেন কিজন্য এভাবে আমার একজন নীরিহ কর্মচারী যে কিনা একজন শিক্ষার্থী তার উপর এভাবে হামলা হলো তা বোধগম্য নয়। কাউন্টার যদি দখল করতেই হয় বা অন্যকোন চাহিদা থাকত তাহলে আমার সাথে কথা বলে সমাধান করতে পারত। এভাবে নীরিহ ছেলেটাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা ঠিক হয়নি। এবিষয়ে আমি আইনী ব্যবস্থা নিব। হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য ফোন করলে তিনি নিজেকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (পরিবহন) নারায়নগঞ্জ জেলার নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। তবে কোনপ্রকার পদপদবীর কথা উল্লেখ করেননি। হামলার বিষয়ে তিনি বলেন ‘আমি সেখানে উপস্থিত ছিলামই না আমি হামলা করব কিভাবে। আবার ইমরান এর বিষয়ে তিনি বলেন সে যে মারবে এটা ভাবতেই পারিনি। অথচ তারই নেতেৃত্বে ইমরান ও আরো অজ্ঞাত ১০-১২ জনের দল কাউন্টারে গিয়ে হামলা ভাঙচুর করে যা ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়। এবিষয়ে এলাকার নেতৃস্থানীয় মোঃ জসিম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান যে ভাই আমি হাজী মানুষ হজ ক‌রে আসছি মিথ্যা বলব না, কিজন্য বা কেনইবা ছেলেটাকে পিটিয়ে আহত করে তা বুজতে পারছিনা তবে শুনছি আলমগীর ও ইমরানের নাম। এবিষয়ে তাদের কড়া বিচার করা উচিত বা আইনের আশ্রয় নিতে পারে ভুক্তভোগীর পরিবার বা কাউন্টার মালিক। হামলার পর ভুক্তোভোগীর পরিবার থেকে থানা ও সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেন। ভুক্তোভোগীর মা জানান আমার ছেলে বাজে কোন জায়গায় আড্ডা না দিয়ে নিজেই নিজের পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য সোহাগ ভাইয়ের কাউন্টারে পার্টটাইম চাকুরী করে। যদি আলমগীর ইমরানের সাথে কাউন্টারের মালিক এর কোন ঝা‌মেলা থা‌কে তাহ‌লে তার সাথে থাকবে। তারা নিজেরা বসে সমাধান করত। কিন্তু আমার ছেলেকে সোহাগ ভাইয়ের কাউন্টারে কাজ করার জন্য এভাবে পিটিয়ে আহত করবে তা কোনভাবেই মানা যায়না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

শেয়ার করুনঃ