ঢাকা, রবিবার, ১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টুং টাং শব্দে মুখরিত সলঙ্গার কামারপট্টি
লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং লিবার্টির সভাপতি হলেন শরিফুল ইসলাম
খুলনা টাইগার্সের মালিক ইকবাল আল মাহমুদ গ্রেফতার
জলঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে তিন ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন
বিরামপুরে কৃষকদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
দলিল জালিয়াতির অভিযোগে কবি সানাউল হকের পুত্র সুমন ইত্তাদ মামুন পলাতক
ধরলায় শখের বঁড়শিতে ধরা পড়েছে ১০ কেজি ওজনের চিতল
রাজস্থলীতে ড্রাম ট্রাক দুর্ঘটনায় ৭ শ্রমিক আহত
টানা বৃষ্টিতে আখাউড়া উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে
ভূরুঙ্গামারীতে পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
নবীগঞ্জে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিখোঁজ: মায়ের জিডি দায়ের
আত্রাইয়ে ৩৬ মণের ষাঁড় নিয়ে শঙ্কায় জাহাঙ্গীর
রূপসায় শিক্ষা অফিসের কর্মচারী জাকির ত্রাস, সাংবাদিক লাঞ্চিত; হাত- পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি
ঘোড়াঘাটে কৃষি অফিসে পার্টনার কংগ্রেস প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ঘোড়াঘাটে আবারও মাদক ব্যবসায়ী-সেবী সক্রিয় অলিতে গলিতে ফেন্সিডিলের খালি বোতলের ছড়াছড়ি

সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক’শ বসতবাড়ী স্কুল মসজিদ ও ফসলী জমি

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বহরমপুর গ্রাম। ইতিপূর্বে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক শত বসতবাড়ী ও শত শত বিঘা ফসলী জমি, বহরমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরমপুরের কয়েকটি জামে মসজিদ, লক্ষ টাকার গাছের বাগান, পুকুরের মাছসহ নানান স্থাপনা। এতে গত কয়েক বছরে নি:স্ব হয়েছেন কয়েক হাজার নদীর তীরের বাসিন্দা। বাপের ভিটামাটি ও বাপ দাদার কবরের চিহ্নটুকো হারিয়ে নি:স্ব হয়েগেছে।

নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বারবার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দারস্থ হলেও এখনো মেলেনি কোনো টেকসই সমাধান। গত ২০২৩ সালে ৫ অক্টোবার জয়নাল আবেদীন মৃধার বাড়ী ঘর ভেঙে নদীতে চলে যায়, তখন তার বাড়ীর সামনে জরুরি ভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা ভাঙন রোধে তেমন কোনো কাজে আসেনি।

নদীর তীরের বাসিন্দা বহরমপুর গ্রামের রহমান মৃধা বলেন, আমার বাপ দাদার কবরের শেষ চিহ্নটুকোও মুছে যাওয়ার পথে। সব সম্পদ হারিয়েও এখন এই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়েও হেরে যাচ্ছি আমরা। তিনি আরও বলেন, বহরমপুর মৌজায় বাপ দাদার নামে ১০০বিঘার বেশি জমি ছিলো যার প্রায় পুরোটাই নদীর গর্ভে চলে গেছে। এখন আমাদের থাকার যায়গা নাই সব সুগন্ধা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, আমরা দ্রুত এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

ভাঙন ঝুকিতে দিন কাটানো নদী তীরের আরেক বাসিন্দা মতলেব লস্কর বলেন, আমার বাপ দাদার সব কিছু নদীর পেটে চলে গেছে। বৃদ্ধা মায়ের শেষ ইচ্ছার কারনে আমরা এখনো ঝুকি নিয়ে এখানে বসবাস করছি। যেকোনো সময় এই শেষ চিহ্নটিও ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ার শংকায় আছি। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।

বহরমপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুম লস্কর শাহাজাদা বলেন, এ পর্যন্ত অনেকবার পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে কিন্তু সরকারি কোন সংস্থা ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে, এখন বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আকুল আবেদন অতি দ্রুত বহরমপুর জয়নাল মৃধার বাড়ী, লস্কর বাড়ি, এবং বহরমপুর খান বাড়ী মসজিদ রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হবে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল বারি জানান, এই স্থানটিতে ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের মাধ্যমে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো।ওই স্থানে টেকসই প্রকল্পের কাজও প্রকৃয়াধীন রয়েছে যা শিঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করছি।

শেয়ার করুনঃ