ঢাকা, রবিবার, ৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
শাহবাগে ফুলের দোকানে আগুন: ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ ও হাইড্রোজেন সিলিন্ডার ছিল বিপদের কারণ
সরকারি সফরে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান
বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
পঞ্চগড়ের বোদায় গুম, খুন, ছিনতাই, ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
ফুলবাড়ী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলনী
চাঁদাবাজির অভিযোগে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে শোকজ
রাজধানীর’ খেতাপুড়ি ‘দখল করেছে পটুয়াখালীর ঝাউবন
ঝিকরগাছায় কিশোরকে বস্তা কিনতে পাঠিয়ে ভ্যান নিয়ে চম্পট
১৭ বৎসর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ,দরকার হলে আবারো নামা হবে: আজিজুল বারী হেলাল
পাঁচবিবিতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
টিআরসি নিয়োগে দালালমুক্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার আশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের
উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে রোগীদের দূর্ভোগ
চিলমারীতে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমির স্নান সম্পন্ন
বিএনপি নেতার ওপর বোমা হামলার প্রতিবাদে কয়রায় বিক্ষোভ মিছিল

গুইমারার উন্নয়নের কারিগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা

নিজস্ব প্রতিবেদক:: দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে এক অনবদ্য অবদান রেখেছেন বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সু-দৃষ্টি ও গুইমারা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মেমং মারমার নেতৃত্বের কারনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গুইমারা উপজেলা। ২০০৯ সাল থেকে মেমং মারমার আপ্রাণ চেষ্টা ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের বিনিময় ২০১৪ সালে ‘গুইমারা’ একটি উপজেলা হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছিল। শুরুতে উন্নয়ন না হলেও মেমং মারমা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে এ এলাকার জনগণের জীবনমান।

গুইমারা উপজেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বর্তমান চেয়ারম্যান মেমং মারমা। একের পর এক আন্দোলনের পর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টিতে ২০১৪ সালে গুইমারা উপজেলা ঘোষনা করা হয়। তবে ঘোষনা করা হলেও শুরুতে তেমন কোনো উন্নয়নের মুখ দেখেনি এলাকাবাসী।

পরবর্তীতে নির্বাচনে মেমং মারমা চেয়ারম্যান হওয়ার পর পাল্টে যেতে শুরু করে গুইমারা উপজেলার চিত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। একে একে সদর এলাকা থেকে শুরু করে দূর্ঘম এলাকায়ও উন্নয়নের ছোয়া লাগতে শুরু করে। দুর্ঘম এলাকাগুলোর সড়ক উন্নয়ন, মডেল মসজিদ, মন্দির নির্মাণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অসহায়দের সাহায্য সহযোগিতা, শীতার্তদের মাঝে শিতবস্ত্র বিতরণ থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক অবকাঠামো ও উপজেলা পরিষদের নিজস্ব ভবন নির্মাণে তার অবদান অপরিসীম। এছাড়াও সাধারণ জনগণের যেকোনো সমস্যা সমাধানে সবসময় পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি স্থানীয় সরকার দিবসে গণভবনে উপস্থিত হয়ে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অসহায়দের জন্য বিশেষ থোক বরাদ্ধের আবেদন করেন তিনি। এর পর থেকেই স্থানীয়রা মেমং মারমাকে চিনতে শুরু করে গুইমারা উপজেলার উন্নয়নের কারিগর হিসাবে।

স্থানীয়রা বলেন, “গুইমারা উপজেলা হিসাবে ঘোষণার পর শুরুতে তেমন কোনো উন্নয়ন না হলেও, মেমং মারমা চেয়ারম্যান হয়ে আসার পর দুর্ঘম এলাকা থেকে সদরাঞ্চলে পর্যন্ত উন্নয়নের ছোয়া লাগতে শুরু করে। তার সদয় আন্তরিকতায় এ এলাকার মানুষ স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারছে। অসহায় গৃহহীনরা পাচ্ছে সরকারি ঘর, ভূমিহীনরা পাচ্ছে ভূমি, শীতার্তরা পাচ্ছে শীতবস্ত্র এবং অভাবগ্রস্থ ও রোগিরা পাচ্ছে আর্থিক সহায়তাসহ চিকিৎসা অনুদান। তার এই ভবানুভূতি জনসাধারনে মাঝে এক শান্তির নীড় সৃষ্টি করেছে বলে জানান তারা। মেমং মারমার মত একজন চেয়ারম্যান পেয়ে অত্যান্ত আনন্দিত ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।

শুধু উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর নয়, গুইমারা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালীন অসহায়দের পাশে দাড়াতেন নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে। উন্নয়ন ও নিজের আত্মপরিকল্পাকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে এলাকার জনসাধারনের জীবনমান ও গুইমারা উপজেলা একটি আদর্শ-উন্নয়নশীল উপজেলায় পরিনত করা যায় সেই ধারাবাহিকতায় নিজেকে ধিরে ধিরে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। তার এই ত্যাগ ও আত্মনিয়োগ এই এলাকার মানুষ কখনো ভুলবে না।

শেয়ার করুনঃ