
পটুয়াখালী পৌর শহরের পুরান বাজারের সাবেক জনতা ব্যাংকের সামনে অবস্থিত মোঃ হারুন মুন্সীর নির্মাণাধীন ভবন থেকে কাজ করা অবস্থায় পড়ে প্রথমে এক নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়। সুত্রে জানা গেছে, এঘটনা টি ঘটেছে ২০ অক্টোবর রবি বার আনুমানিক বেলা সাড়ে ১২ টায়।পরে এ নির্মাণ শ্রমিক কে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করা হয় সুত্রে জানা গেছে। উক্ত শ্রমিক বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও এ নির্মাণাধীন ভবনের সাব কন্টাক্টার মোঃ কামাল হোসেন’র নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে একজন ছিলেন। তার নাম ইদ্রিস মৃধা,পিতা- আলী মৃধা, সাং-চরমৈশাদী,কমলাপুর, থানা ও জেলা – পটুয়াখালী সদর। সুত্রে আরও জানা গেছে, হাসপাতাল থেকে ইদ্রিস মৃধার মরদেহ দফারফা করে তার আত্মীয়- স্বজনরা তরিঘরি করে গ্রামের বাড়িতে ময়না তদন্ত ( পোস্টমর্টেম) ছাড়াই নিয়ে যায়।
এদিকে উক্ত নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের সাথে এ দফারফায় সংযোগ স্হাপনে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ জালাল তালুকদারও যার সাথে উক্ত ইদ্রিস মৃধা এ ভবনে কাজে যোগ দিয়ে ছিলেন সেই মোঃ কামাল হোসেন এমন টি জানা গেছে। পড়ে ২০ অক্টোবর রবিবার রাত সাড়ে টায় কমলাপুর ইউপির চরমৈশাদী জনতা স্কুলের কাছের বাড়িতে ইদ্রিস মৃধার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং তাকে তাদের পারিবারিক কবর স্হানে সমাহিত করা হয় বলে জানা যায়। এ বিষয় জানতে বহু খোঁজা খুঁজি করে এ নির্মাণ শ্রমিকের পরিবারের কোনও সদস্যর সন্ধান এবং এমনকি তাদের কারো মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করতে না পাড়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে উক্ত নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের মুঠোফোনে কয়েক বার কল দিলেও প্রতিবারই তার ফোন কল বন্ধ পাওয়া যায়। এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।
এ বিষয় জানতে কমলাপুর ইউপির গ্রাম পুলিশের দফাদার সালাম এর মুঠোফোনে এ প্রতিবেদক কল দিলে তিনি ফোন কল রিসিভ করে বলে আজান দিচ্ছে কিছুই শোনা যায় না। এ কথা বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে পুনরায় তার ফোনে কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উক্ত ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ কামাল হোসেন’র মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন সভাপতির সাথে কথা বলিয়ে দিচ্ছি আপনাকে। এই কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ বিষয় জানতে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ জালাল তালুকদার এর মুঠোফোনে কয়েক বার কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অনেক বার কল দেয়ার পরে তার ফোন খোলা পাওয়া গেলে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছি। এই কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উক্ত ব্যাপারে জানতে কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ( ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম মৃধা’র মুঠোফোনে কল দিলে তিনি প্রথমে ফোন কল রিসিভ করে নাই। পরে তিনি কল ব্যাক করলে তাকে এ বিষয় অবহিত করলে তিনি বলেন, তিনি শুনেছেন, ইদ্রিস মৃধার পরিবারের সদস্যরা পোস্টমর্টেম করতে চান না। এছাড়াও তিনি এসময় বলেন সে তার জানাজায় যাবেন। এই কথা বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ বিষয় জানতে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ এর মুঠোফোনে দু’বার কল দিলেও তিনি ফোন কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।