আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি ঃ বরগুনার আমতালীতে একটি আবাদি ফসলি জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন এর আঠারগাছিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৫ জুন রবিবার ওই গ্রামের মো. আতিকুর রহমান পলাশ বাদী হয়ে ১২ জনকে বিবাদী করে সিনিয়র জুডিশিয়াাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার অফিসারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশদেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১২ জুন সকালে আঠারগাছিয়া গ্রামের মো. আতিকুর রহমান পলাশ এর পৈত্রিক সম্পত্তিতে ( ৩.২৩ শতাংশ জমিতে ) আসামীরা জোর পূর্বক প্রবেশ করে দখল নেওয়ার চেষ্টা চালায় এ সময় আসামীরা জমিতে রোপন করা ইরি আউশ রোপা পাওয়ার ট্রাক্টর দিয়া উপড়াইয়া ভাঙ্গিয়া নষ্ট করিয়া প্রায ৮০,০০০/-( আশি হাজার ) টাকার ক্ষতি সাধিত করেন ।এসময় মো. আতিকুর রহমান পলাশ আসামীদের বাধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় আঠারগাছিয়া গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন মাতুব্বর (৬০), পিতা- মৃতঃ কালু মাতুব্বর, মোঃ শানু মাতুব্বর (৫৭), পিতা- মৃতঃ কালু মাতুব্বর, মোঃ কাদের মাতুব্বর (৫৪), পিতা- মৃতঃ কালু মাতুব্বর, মোঃ খলিল মাতুব্বর (৪২), পিতা- মৃতঃ তোতা মাতুব্বর,গং, মোঃ কুদ্দুস হাওলাদার (৬০) সহ ১২ জনকে, কে আসামী করে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন মো. আতিকুর রহমান পলাশ। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার অফিসারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশদেন।

মামলার বাদী মো. আতিকুর রহমান পলাশ বলেন মো. নাশির উদ্দিন গং ভূমিদস্য প্রকৃতির লোক, বিভিন্ন সময় সমাজে সাধারণ মানুষকে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য মামলা হামলা চালিয়ে থাকেন। আঠারগাছিয়া মৌজায় ৪২৯,৪৫০,৫১,৫৯ দাগে মো. নাসির উদ্দিন মাতুব্বর গং এর ক্রয় করা জমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ। কিন্তু মো. নাসির উদ্দিন গং ৪৫০ দাগে থেকে ৫০ শতাংশ জমি সম্পূর্ণ দখল চেষ্টা চালায়। আসামী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ১৯৮২ সালে জালাল উদ্দিন এর নিকট থেকে এই ৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করার পর দীর্ঘ দিন ভোগদখল করতে দেয়নি কোন উপায় অন্ত না পড়ে দির্ঘ সাত বছর পড় আইনি সহযোগিতায় ৫০ শতাংশ জমি দখল পেয়ে শাšি—পূর্ণ ভাবে তিন যুগ এর অধিক সময় ধরে ভোগদখল করে আসছি। প্রতিবছর এর নেয় এবছর জমি চাশ করতে গেলে দেখতে পাই আতিকুর রহমান পলাশ গং, জমির পুর্বের সীমানা প্রাচীর উপরে ফালাইয়া নতুন সীমানা নির্ধারণ করে। আমার ভোগদখলি জমি আবাধ করছে, তাই আমি পুর্বের সীমানা ঠিক করে নিজের জমি চাষবাদ করেছি। এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, কোর্টের নির্দেশ মত তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।