
রাজশাহীর বাগমারায় ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে বসতভিটায় স্থায়ী স্থাপনা ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি নরদাশ ইউনিয়নের সাঁইধাড়া গ্রামে। মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাঁইধাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলী হাসু প্রাং এর ছেলে সাইফুল ইসলাম এবং তার বড় ভাই আবুল কাশেম ও তার সন্তানদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে।
সাইফুল ইসলামের দাবী, কোর্টে মামলা চলমান (নিষেধাজ্ঞা ) সত্ত্বেও জোর পূর্বক ভাতিজা আসাদুজ্জামান বাড়ী নির্মাণ ও কয়েক দাগে জমি জবর দখলের পাঁয়তারা করছে।
ভিকটিম সাইফুল ইসলাম জানান, সাঁইধাড়া মোজায় খতিয়ান নং ২৭০, ৩০৮, ২৯৪, দাগ নং ১৫৩৫, ১৬৩৪,১৩৭৫, ১৩৬৬ এ ভাতিজারা জোর পূর্বক বাড়ী নির্মাণ এবং জবর দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এমন কী আমাকে তারা নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে ।
উক্ত জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে মহামন্য সিনিয়র সহকারী জজ রাজশাহী ( বাগমারা) আদালতে মামলা (মামলা নং-২০২/১৬) চলমান রয়েছে।
এছাড়াও এ সংক্রান্ত এডিএম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট রাজশাহীতে (ফৌজদারি রিভিউশন নং ২০২/২০২৩) মামলা চলমান ।
সাইফুল ইসলাম আরও জানান, প্রাপ্ত দলিল মূলে ও সোলেনামা মূলে প্রায় দুই যুগ ধরে উক্ত জমিজমা ভোগদখলে রয়েছি।
হঠাৎ বিগত ৩ রা নভেম্বর ২০২৩ ইং বিবাদীরা উক্ত সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে ।
উক্ত ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ৬ নভেম্বর ২০২৩ ইং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজশাহী আদালতে আসাদুজ্জামান, কামরুজ্জামান, হানিফ উদ্দিন সকলের পিতা আবুল কাশেম, আবুল কাশেম পিতা মৃত হাসান আলী হাসু প্রাং, আবুল কাশেমের স্ত্রী সানোয়ারা বিবি সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে মামলা দায়ের করি ।
মহামান্য আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে বাগমারা থানা পুলিশ ১৪৪ (নোটিশ) জারি করেন।
সরজমিন আসাদুজ্জামানকে লোকজন নিয়ে বাড়ীর কাজ করতে দেখা গেছে।
আসাদুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোর্টের রায় মোতাবেক সাঁইধাড়া মৌজায় ১৫৩৫ দাগে আমি পাকা বাড়ী নির্মাণ করছি ।
বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক মামলার আইও আব্দুল মান্নান মুঠোফোনে জানান, পক্ষদ্বয়কে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে ।