ঢাকা, সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের পরিবারের দায়িত্ব নিল
পঞ্চগড়ের বোদায় ৩১ শয্যার জনবলে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল
চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের বর্ধিত সভা
পাঁচবিবিতে ধুরইল আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে পুরস্কার বিতরণ
মিরপুরের বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীতে ৭০৪ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যকে নিয়ে টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু
এলজিইডির প্রকল্পের টাকায় স্ত্রীকে গাড়ি-বাড়ি কিনে দিচ্ছেন পরিচালক
মিরপুরের বস্তিতে আগুন
খুলনায় যানজটমুক্ত নগরী গড়তে ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ
আ.লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় মিছিলের চেষ্টা, ১১ নেতাকর্মী আটক
জলঢাকায় কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
তানোরে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনের নামে হত্যা মামলা গ্রেপ্তার ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমিন বাজার ল্যান্ডফিল আকস্মিক পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক
জমি দখল ও হয়রানির অভিযোগে রায়পুরে সংবাদ সম্মেলন

উজিরপুরে শিবপুর মাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের শিবপুর নবীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় শিবপুর নবীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরশিৎ চন্দ্র বিশ্বাস ও সভাপতি দিলিপ রায় মিলে ওই প্রতিষ্ঠানে আয়া পদ ও অফিস সহকারী পদে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে আয়া পদে বিউটি রায়ের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাকরি দেয়।

এছাড়া অফিস সহকারী পদে সুদেব রায়কে নিকটতম আত্মীয় বলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে এসএসসি পরীক্ষার্থী ৫২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম পূরণে ৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হরশিৎ চন্দ্র বিশ্বাস, নিয়োগ বানিজ্য’র বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে ফরম পূরনের বিষয়ে বলেন, উজিরপুরে প্রতিটি স্কুলেই ৫/৬ হাজার টাকা নিয়ে থাকে, তাই আমি নিয়েছি। সভাপতি দিলিপ রায় বলেন দাতা সদস্যর পরিবারের লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে চাকরি দেয়া হয়েছে এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং ফি সহ ৫ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্কুলে অনেক খরচ আছে তাই নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত ফি নেয়া হয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইউপি সদস্য মোঃ শাহীন জানান, লোকমুখে শুনেছি মোটা অংকের টাকা নিয়ে আয়া পদে বিউটি রায়কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম জাহিদুল ইসলামকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। নিয়োগ বানিজ্য ও এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করায় দূর্ণীতিবাজ ওই প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

শেয়ার করুনঃ