২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পরবর্তী সময়ে হরতাল-অবরোধে বিভিন্নস্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দায়ে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ৩৯৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

গত ২৮ অক্টোবর কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল ও মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নৃশংস হামলা চালানো হয়। এছাড়া, গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহন ও সরকারি বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

হামলা চালানো হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও।

পরে বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেটের সামনে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করার সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মজুমদারকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ীর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মতিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর হামলা ও নাশকতাসহ পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ৩৯৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

তিনি জানান, সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র‌্যাবের দেড় শতাধিক টহল ও সারাদেশে র‌্যাবের সাড়ে চার শতাধিক টহল দল মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র‌্যাব ফোর্সেসের রোবাস্ট টহল পরিচালিত হচ্ছে। অবরোধে গণপরিবহনের নিরাপত্তা দিতে দূরপাল্লার বাসসমূকে চাহিদার প্রেক্ষিতে র‌্যাবের এসকর্ট দেওয়ার মাধ্যমে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

ডিআই/এসকে