
বেকারদের কর্মসংস্থানসহ ৭ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে যুব অধিকার পরিষদ পিরোজপুর শাখা। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে “দয়া নয় কর্ম চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই” স্লোগানে পিরোজপুর পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার নিজাম উদ্দিন বলেন ‘দেশের অধিকাংশ তরুণ সমাজকে কর্মহীন রেখে কোনো দেশ ডিজিটাল বা স্মার্ট হতে পারেনা। ” তিনি বেকারদের কর্মসংস্থানের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। প্রতিবছর অন্তত ২৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে ও চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।
আবেদন ফি, ঘুস, প্রভাবশালীর রেফারেন্স, জামানত, বয়সসীমা মুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি বেসরকারি চাকরির সকল বৈষম্য দূর করতে হবে।
ইউনিয়নভিত্তিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় উৎপাদন উপযোগী জনশক্তি তৈরি করতে হবে।’
শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট জামানত ও সুদবিহীন ঋণ প্রদান করতে হবে। কর্ম ও ঋণ আওতার বাইরের সকলের জন্য বেকার ভাতা দিতে হবে।
এসময় সমাবেশ থেকে দাবি জানানো হয়, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের যোগ্যতা অনুসারে শতভাগ চাকরি নিশ্চিত করতে হবে, অশিক্ষিত অসহায় প্রতিবন্ধীদের স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে। জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বিদেশে প্রেরণ, বিদেশে প্রেরণের সকল স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক (ভিআইপি) হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
সাবেক ছাত্রনেতা মো. জিয়াউল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কালিমুল্লাহ ইউসুফ, হাকিম মো. কামাল হোসেন, মো. সিরাজ খান আরিফ, মো. সবুর খান, মো. মোস্তফা কামাল অপু, মোসা. ফেরদৌস আরা জান্নাত, মো. হাফিজুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মো. বেল্লাল মিয়া. নুরুল ইসলাম রাসেল, মো. সামসুল হক খোকন, মো. ইমাম হাসান।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছে তোফাজ্জলের মতো একজন মানষিক ভারসাম্যহীন মানুষ নিরাপদ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীরা বর্বরতা ও পাশবিক নির্যাতন করে জীবন্ত মানুষটাকে মেরে ফেলেছে। এই ঘটনা জাতির জন্য কলঙ্ক। তারা কলঙ্কিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। আমরা পিরোজপুর বাসীর পক্ষ থেকে এই হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চিতের দাবি জানাই।