রূপসা -বাগেরহাট বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সাধারণ মালিকদের এক অংশ গত ৩১ আগস্ট সোনাডাঙ্গায় সাধারণ সভা করে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে
দক্ষিণাঞ্চলের পরিবহন সেক্টরের স্বীকৃত চাঁদাবাজ ও পরিবহন দস্যু নামে খ্যাত গফফার বিশ্বাস কর্তৃক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য করায় ফুসে ওঠে রূপসা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা । তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল গফফার বিশ্বাস ও বিএনপি নামধারী তার কিছু দোসররা মিলে তাদের দোষ ঢাকতে খুলনার একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় মিথ্যা প্রতিবাদ সংবাদ পরিবেশন করে। সেই মিথ্যা প্রতিবাদ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রূপসা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ বাস মালিকরা গত ৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় রূপসার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও বাস স্ট্যান্ড চত্বরে প্রতিবাদ সভা করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা দলীয় চেয়ারপার্সনকে নিয়ে কটুক্তি করার ফুঁসে ওঠে। তারা দাবী জানায় অচিরেই চাঁদাবাজ ও পরিবহন মাফিয়া গফফার বিশ্বাসকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পরিবহন সেক্টরের আতঙ্ক এই গফফার বিশ্বাস ও তার দোসররা বিএনপি চেয়ারপার্সন , তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের মা "বেগম জিয়া" সম্পর্কে কটুক্তি করে যে বক্তব্য দিয়েছে তা দুঃসাহসিকতা ও দুষ্টতার শামিল এবং অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এজন্য তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। জাতীয়তাবাদী দল জিয়ার সৈনিকেরা এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই পরিবহন দস্যু গফফার বিশ্বাস ও বিএনপির কিছু নামধারী ছদ্দবেশী ব্যক্তিদের অচিরেই জনগণের সামনাসামনি এনে তাদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে তারা এতদিন সুবিধা ভোগ করেছে। আর আমরা যারা জিয়ার সৈনিক তারা শত জেল জুলুম সহ্য করেও আন্দোলন সংগ্রাম করে টিকে আছে। তারা এখন সুসময়ে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে । তাদের স্থান জাতীয়তাবাদী দলে হবে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং আমাদের উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। যারা জাতীয়তাবাদী দলের সুনাম নিয়ে খেলবে, এ দলে এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে, জুলুম অত্যাচার করবে তাদের জায়গা জাতীয়তাবাদী দলে হবে না। প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন রূপসা উপজেলা জাতীয়তা (বিএনপি)'র আহবায়ক ও নৈতিক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মোল্লা সাইফুর রহমান ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নৈহাটি ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র সদস্য সচিব মোঃ দিদারুল ইসলাম (শিক্ষক)। এ সময় বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র সদস্য সচিব জাবেদ মল্লিক, সিনিয়র যুগ্ন -আহবায়ক বিকাশ মিত্র, যুগ্ন আহবায়ক মোঃ রবিউল ইসলাম রবি, রয়েল আজম, নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোঃ ইলিয়াছুর রহমান শেখ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি রুবেল মীর। এছাড়াও আরো বক্তৃতা করেন
বিএনপি নেতা আনসার বিশ্বাস, ইসমাইল হোসেন,শরিফুল ইসলাম বকুল,খন্দকার শরিফুল ইসলাম,জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল রহমান সাগর,ইয়ারুল ইসলাম রিপন,জেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির শেখ,তায়েব উদ্দীন দারা,রূপসা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ গাজী, (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান আসাবুর মোড়ল,বিএনপি নেতা মামুনুল ইসলাম,কায়েম উদ্দীন,হালিম মোড়ল,জহিরুল হক শারাদ,খন্দকার ইমরান হোসেন,আসাবুর মোড়ল,কাকলি আক্তার,টিটো জমাদ্দার,অন্তর হোসেন মাসুদ,সাবেক ছাত্রদল নেতা দেলোয়ার হোসেন,রূপসা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক জাকারিয়া কাজী,যুগ্ম আহবায়ক স,ম শফিকুল রহমান,আফজাল শেখ,মোঃ টিটো,এসএম দেলোয়ার হোসেন, মাজহারুল,
আফজাল,রনি শেখ,নাজমুল শেখ,মিকাইল শেখ,খায়রুল রাজু,গোলাম রাবানী,রাশেদ সরদার,জলিল হাওলাদার,রাসেল শেখ,আবু বক্কর,আল আমিন,শিবু বিশ্বাস,নাঈম শেখ,ইয়াকিন প্রমূখ।