
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৪ নং সোনাপুর ইউনিয়ন এর ১নং ওয়ার্ড পাটোয়ারী বাড়িতে জমিসংক্রান্ত জেরে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে এক গৃহবধূ আহত হয় এবং উভয় পক্ষের ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়। গত রবিবার দুপুর আনুমানিক ৩ টায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এবিষয়ে কালু পাটোয়ারী বাড়ির শাহ আলম পাটোয়ারীর স্ত্রী আহত রহিমা আক্তার (৪৫) গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ” আমি একজন গৃহিণী। আমার দেবর এবং আমার দেবরের ছেলে সহ আরও ৩ থেকে চারজন তাদের দলবল নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুর আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় আমার ভোগ দখলীয় ওয়ারিশী সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে আমার ঘরবাড়ি ভাংচুর করে এবং দেশীয় অস্ত্র সস্র নিয়ে আমাকে এবং আমার অসুস্থ প্রতিবন্ধী ছেলে শশী (৩৮) কে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত করে আহত করে। আমার চিৎকারে আসে পাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে যার রেজিনং – ২৪৫২/২৫২। আমি তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রায়পুর থানার ওসি বরাবর একটা অভিযোগ পত্র দাখিল করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় উভয় পক্ষের ঘরবাড়ি-ই ভাংচুর করা হয়েছে।
প্রতক্ষদর্শী কয়েকজন গণমাধ্যমের কাছে বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যেই মারধর ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে এটা সত্যি।
এবিষয়ে মিজানুর রহমান ভুলু পাটওয়ারী (৫৩) গণমাধ্যমের কাছে ঘরবাড়ি ভাংচুর করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ঘরে আমি শোয়া ছিলাম। রহিমা আক্তার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ঘরবাড়ি প্রথমে ভাংচুর করে এবং আমাকে কোপাতে আসে তখন আমি তার হাত থেকে দা ছিনিয়ে নিয়ে রাগের মাথায় তার ঘরবাড়ি ভাংচুর করি। কিন্তু রহিমাকে কোন মারধর করিনি। মারধরের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। মহিলার গায়ে যে আঘাতের চিহ্ন, তা আমার ঘর সে ভাংচুর করার সময় লেগেছে। আমি আমার বাতিজা শশীকে আঘাত করার উদ্দেশ্য কাছে যাই তখন শশী বলে কাকা আমাকে মাইরো না, আমি বাতিজার কথায় মায়ায় জড়িয়ে কোন মারধর করিনি। উল্টো শশী আমার ছেলে নাহিদ হাসান (১৯) কে মারধর করে। আমি তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। ”
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) সামছুল আরেফিন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”