আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: দলীয় শৃক্সখলা বিরোধী বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাত ফকিরের বিরুদ্ধে, লুটপাট, ভাঙচুর, দখল, চাঁদাবাজি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা
গ্রহণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ২৮ আগস্ট বুধবার ব্যক্তিগত কাজে চিলা যাচ্ছিলাম। তখন আমতলীর চলাভাঙ্গায় অবস্থিত চায়না কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুইচিং ষ্টেশনে মিল্টন, মিলন,রাহাতসহ অনেকে চাঁদাবাজি করছে। এমন তথ্য পেলে আমি ওখানের স্থানীয় লোকদের কাছে জানতে পেরে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এক পর্যায় মিল্টন, মোকলেসসহ ৫ জনকে আমতলীতে পার্টি অফিসে আসতে বলে ওখান থেকে আমতলী আসার জন্য আমরা আমতলী- কলাপাড়া হাইওয়ে রাস্তায় উঠামাত্র আমাদের উপর অতর্কিত পরিকল্পিতভাবে রামদা ছেনা ও চাপাতি দিয়ে ওরা হামলা করে। ঘটনাস্থলে আমার সাথে থাকা বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, মিলন আহত হয় এবং একটি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। তারপর বিকাল ৪টার দিকে আমি পার্টি অফিসে আসলে আমার বাসা ছুরিকাটা স্ট্যান্ডে নেমে প্রায় ২০০ লোক নিয়ে আমার বড় ভাই হালিম মৃধার উপর অতর্কিত হামলা ও এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে তার পিঠে এবং আঙ্গুলে গুরুতর জখম করে। ওই একই হামলাকারিরা পল্লিবিদ্যুৎ সাব স্টেশনের কাছে এসে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উপর আবারও হামলা করে। এতে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু মুছা, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান, চাওড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রবিউলসহ অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগষ্ট থেকে ওই বহিষ্কৃত নেতা জালাল উদ্দিন ফকির ও তার অনুসারীরা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দোকানে ভাংচুর, হামলা, দখল, চাঁদাবাজি, হাইজ্যাক ও লুটপাট করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম টারজান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম খান ও যুবদলের সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মো. শামসুল হক।এই বিষয়ে মো. জালাল উদ্দিন ফকির , তার বিরুদ্ধে আণীত সকল অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকালে বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে একদল বিএনপি'র কর্মী খুরিয়ার খেয়াঘাটের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরের দোকানে চাঁদাবাজি করতে যায়। ওই সময় ব্যবসায়ী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার দোকান ভাংচুরসহ পিটিয়ে আহত করে।