
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লাল মিয়া হাওলাদার ছেলে মোঃ ইব্রাহিম। বাবা-মায়ের পাশে থেকে তাদের সেবা করবে এই আসায় চাকরি নেয় জুয়েল এন্টারপ্রাইজ নামে বিভিন্ন ব্রন্ডের ইলেকট্রনিকস পন্য’র বিক্রয় বিপনি দোকানে,১২০০০ হাজার টাকা বেতন পেতো ইব্রাহিম। হঠাৎই আশার আলো দেখায় জুয়েল এন্টারপ্রাইজ এর মালিক জুয়েল, এম ই পি এর পার্টনারশিপ করবে বলে এমন প্রস্তাব দেয় ইব্রাহিমকে।ইব্রাহিম পরিবার সবার সাথে কথা বলে বাবার জমি বন্ধক দিয়ে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিভিন্ন ধাপে তুলে দেয় জুয়েলের হাতে। বছর খানেক পর বাবার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হলে,ব্যবসার লভ্যাংশ থেকে টাকা চাইতেই শুরু হয় একের পর এক হুমকি ও নিত্য নতুন নানান কৌশলে টাকা না দেওয়ার বিভিন্ন তালবাহানা। যার জন্য ইব্রাহিমের পরিবার বিভিন্ন ভাবে সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতি হয় প্রাণের ভয়ে ছাড়তে হয় নিজ পৈত্রিক ভিটামাটি, মাঝে মধ্যে আসলেও বাড়িতে থাকেন আতংকিত।
সার্বিক বিষয় ইব্রাহিম বাদী হয়ে মোকাম গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (২১,৬০,০০০) একুশ লক্ষ ষাট হাজার পাওনা টাকা ফিরে পেতে জুয়েলকে বিবাদী করে গত ১৪/০২/২৪ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করে যার নং ১৩২/২৪।
অপরদিকে জুয়েল বাদী হয়ে চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদে ইব্রাহিমকে বিবাদী করে এক কোটি একান্নো লক্ষ টাকার একটি আত্মসাৎ এর একটি অভিযোগ করেন। যা পরে স্থানীয় ভাবে শালিসি এর ব্যবস্থা করা হয়, সালিশিতেও রাখা হয় লেজুর ভিত্তিক কিছু ক্ষমতাশালী ব্যাক্তিদের এতে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করে ইব্রাহিম কে বঞ্চিত করা হয় তার পার্টনারশিপ থেকে এবং মিথ্যা তকমা দেয়া হয় ইব্রাহিমকে।এখানেও যখন দেখেন যে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার নয় তখন ০৫/০২/২৪ইং মোকাম গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক কোটি একান্ন লক্ষ টাকা মূলধন দেখিয়ে,এক কোটি টাকা বিভিন্ন ধাপে আত্তসাৎ দেখানো হয় ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে, যার মামৱা নং ১০৮/২৪।এতে ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগের হিসাব অনুযায়ী ৫১ লক্ষ টাকা গরমিল পাওয়া যায়।তবে জনমনে প্রশ্ন জাগে হঠাৎ এতো টাকার গরমিল কিভাবে হলো।ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগ ও আদালতে দায়ের করা মামলার কথোপকথনের একটি ভিডিও প্রকাশ পায় সামাজিক যোগাযোগ মধ্যে যা সাজানো গল্প ছাড়া আর কিছু না এমনটাই বোঝা যায়। তবে ইউনিয়ন পরিষদের একটি ভিডিওতে দেখা যায়,জুয়েল নিজের মুখে শ্বীকার উক্তিতে বলে ইব্রাহিম আমার এম ই পি ব্যবসার পার্টনার ছিলো আমি ওর কাছ থেকে ছয় লক্ষ ষাট হাজার টাকা নিয়েছি।
মামলা চলমান অবস্থায় ইব্রাহিমের উপর অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন ও হামলা করে জুয়েল।পিছন থেকে আঘাত করার কারণে দুই কানের হিয়ারিং লস্ট হয়,বাম কানের পর্দা ছিদ্র হয় এবং হাতে মারাত্মক ভাবে ইনজুরি হয় ইব্রাহিম।আহত ইব্রাহিম কে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে গলাচিপা ৫০ বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জুয়েলকে বিবাদী করে গতো ২০-০৩-২৪ ইং তারিখে আরেকটি মামলা করে ইব্রাহিম।যার সি আর নং ২৩৩/২৪।এ মামলাটিও সিআইডি তদন্ত চলমান
এ বিষয়ে বিবাদী জুয়েল মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, ইব্রাহিম আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল টাকা পয়সা উত্তোলন করতেন একটা সময় ভালো সম্পর্ক হবার সুবাধে বিভিন্ন সময়ে আমি স্থান ত্যাগ করি এমন সময়ে আমার অনুপস্থিতিতে দোকান ও ফিল্ড থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় কোটি টাকা আমার ব্যবসার ক্ষতি সাধন হয় বিষয় টা আমার নজরে আসলে ইব্রাহিমকে জিজ্ঞেস করলে নানান প্রকার গল্পের সৃষ্টি হয়,প্রায় ১২( বারো) মিনিটের বক্তব্যে তিনি দাবি করেন আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয় বাদী ইব্রাহিম বলে,আমি পরপর দুইটি মামলা করেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই আমার এই দায়ের কৃত মামলায় যা উল্লেখ্য আছে তা সম্পূর্ণ সত্যি।তাই পিবিআই এবং সিআইডি যারা আমার এই মামলার তদন্তে আছেন সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের অনুরোধ করছি।
এ বিষয় পিবিআই ও সিআইডি তদন্ত দুজন কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা বলেন, মামলা তদন্ত চলমান অবস্থা আছে। তদন্ত শেষ হলে খুব তারাতাড়ি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।