ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘ক্রিম আপা’ গ্রেফতার
রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার: পাহাড় সমান অপকর্মে জড়ান দাদন মুন্সী
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট প্রশ্ন কোথায় বসে টাকার হিসাব করছেন-স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
আসামি না হয়েও রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারের পর বেলজিয়াম প্রবাসী আ’লীগ সভাপতির মৃত্যু
ঝালকাঠিতে পরীক্ষার প্রথম দিনেই একজন বহিষ্কার, চার শিক্ষককে অব্যাহতি
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত -২
ফরিদপুরে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‌সংহতি জানিয়ে বিএনপির কর্মসূচি
কুষ্টিয়ায় চোর সন্দেহে রিক্সাচালককে হত্যার অভিযোগ
সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আস্কারপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
ফেসবুকে গুজব ও অপপ্রচারকে নান্দাইল যুব ফোরামের লাল কার্ড
দখল হওয়া পাবলিক স্পেস উদ্ধারে অভিযান করবে ডিএনসিসি:ডিএনসিসি প্রশাসক
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
কয়লার চেয়ে প্রাণ দামী: বাঁশখালীর শহিদদের স্মরণে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
চাঁদাবাজি ও নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে চাকরিচ্যুত হলেন আনন্দ টিভির সাবেক ডিএন‌ই প্রশান্ত দাশ কথা
ব্যবসায়ীকে মারধর, ছিনতাই, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন: শ্রমিক দল নেতা গ্রেফতার

ইমাম নিয়ে সংঘর্ষে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শতাধিক লোক আহত

ইমাম নিয়ে সংঘর্ষের জের ধরে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা

ঘটেছে। আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যায় সেখানে পুলিশ ছুটে যায়।

সংঘর্ষের কারণে নোয়াপাড়া স্টেশনে দুটি আন্ত নগর ট্রেন আটকা পড়ে। আহতরা হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানা গেছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও দায়িত্বশীল সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায়।

পরে সেটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলাতেও ছড়িয়ে পড়ে।এক পর্যায়ে মাধবপুর ও বিজয়নগরের বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রেও প্রচুর ব্যবহার দেখা যায়। ব্যবহার করা হয় রেলওয়ের পাথর।

একাধিক সূত্র জানায়, মাধবপুর উপজেলার জামিয়া হরষপুর দারুল উলুম মাদরাসা মসজিদের ইমাম নিয়ে দুই বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই মসজিদের ইমাম মুফতি মো. বশিরের জিহ্বায় কথা আটকানোর কারণে শুদ্ধ উচ্চারণ হয় না বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুটি পক্ষ হয়ে যায়। এক পক্ষ মুফতি বশিরের পক্ষে আরেক পক্ষ বিপক্ষে। এ নিয়ে একটি মামলাও হয়।

সামাজিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় যে মুফতি বশির ইমামতি করতে পারবেন না।
এদিকে দেশের সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মুফতি বশিরকে আনতে তার পক্ষটি তোড়জোড় শুরু করে। আজ শুক্রবার বশির ইমামতি করবেন বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরে নামাজের পর এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেধে যায়। শুরুতে মাদরাসার ছাত্ররা আক্রমণের শিকার হন। পরে উভয় পক্ষ দলবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। মাধবপুরের পার্শ্ববর্তী উপজেলা বিজয়নগরের কয়েকটি গ্রামের লোকজনও এ সংঘর্ষে জড়ালে পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি সংঘর্ষ থামাতে এগিয়ে গিয়ে অবস্থার প্রেক্ষিতে সেখান থেকে সরে যান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে ভিডিও পোস্ট করা মো. এনায়েত উল্লাহ নামে একজন জানান, ইমাম নিয়ে দুই বছর ধরে বিরোধ চলছে। এটাকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের হাজার হাজার লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কিছু ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) নির্মল চক্রবর্তী জানান, ইমাম নিয়ে বিরোধে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে সন্ধ্যার দিকে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুনঃ