
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি দখল ও নৈরাজ্য শুরু করেছে উত্তরা পশ্চিম থানার সাবেক যুবদলের আহ্বায়ক মো.মিলন মিয়া ও তুরাগ থানার সাধারণ সম্পাদক মামুন পারবেস তন্ময়। দলের কিছু সিনিয়র নেতাদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে দখল করেছে ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এরিমধ্যে চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্ধ কোটি টাকা।
উত্তরায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আব্দুল্লাহপুর স্ট্যান্ড, মাছ বাজার,সুইচগেট ফল বাজার,সেক্টরের বেশ কিছু মার্কেট ও বাজার নামে বেনামে দখল করেছে উত্তরা পশ্চিম থানার সাবেক যুবদলের আহ্বায়ক মো.মিলন মিয়া ও তার নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে তুরাগ থানা সাধারণ সম্পাদক মামুন দখল করেছে কামারপাড়া স্টান্ড,ডিস, নেট,গার্মেন্টসের জুট সহ বিভিন্ন অফিস দখল করার অভিযোগ ওঠে।
উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেট উত্তর পাশে পাশের মার্কেট দখল করেছে মিলন সহ তার নেতাকর্মী। মার্কেটটির দখল করার সময় সেখানে থাকা বিশ কিছু ব্যবসায়ী ও মালিক পক্ষের লোকদের মারধর করে আহত করে। এমন কিছু ফুটেজ এসেছে আমাদের হাতে। সেখানে দেখা যায়,বেশ কিছু হুন্ডা যোগে আসেন মিলন। মার্কেটটির সামনে নেমে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কয়েকজনকে ধাওয়া দেন। একজন কথা বলতে আসলে তাকে চর থাপ্পর লাথি ঘুষি মারতে শুরু করে। সেখানে থাকা আরো অনেককেই মারধর করতে দেখা যায়। এছাড়া সেখানকার মালিকের কাছ থেকে কোটি টাকা চাঁদা চাওয়া হয় বলে দাবি করেন।
এছাড়া আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড ও মাছ বাজার একাই দখল করে রেখেছে এই নেতা। আর সুইচগেট বাজারে নিজস্ব লোকজন দিয়ে কমিটির মাধ্যমে দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলছেন,জমি ভিটেমাটি মালিক থেকে আনোয়ার নামে একজন ব্যবসায়ী কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ভাড়া নেন। এতো বছর ধরে আনোয়ার সাহেবের কাছে ভাড়া দিয়েছি এখন একদল লোক বাজারে নতুন কমিটি গঠন করেছে। এখন থেকে তাড়া ভাড়া তুলে নেবে। তাড়া প্রত্যেককেই বিএনপি ও মিলন সাহেবের লোক। এ বাজার দখল করার আগে তাদের লোকজন হামলা করে সব লুটপাট করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে এসব বাজার মালিকদের আওয়ামী লীগ ও ছাত্র আন্দোলন সংঘর্ষ কারী দেখিয়ে ব্যানার পোস্টার করেছে একদল কুচক্রী মহল। স্থানীয়রা বলছেন, একধরনের কাজ করে মূলত তাদের ব্যবসা বাণিজ্য দখল ও তাদের থেকে অর্থ উপার্জন করতে এমন নেক কার জনক কাজ করেছে। এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দের সমন্বয় কারি কয়েকজন পোস্টারে থাকা কয়েকজনের ছবির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। তাড়া বলছেন,কেন্দ্রীয় নির্দেশে পাওয়ার পর ছাত্র আন্দোলন সময় হামলা চালিয়েছিল তাদের ছবি প্রকাশ করা হবে। এধরনের ছবি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।
যাদের বিরুদ্ধে এত শত অভিযোগ সেই উত্তরা পশ্চিম থানার সাবেক যুবদলের আহ্বায়ক মো.মিলন মিয়া ও মামুন পারভেজ তন্ময় সাথে প্রতিবেদক তার মুঠো ফোনে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি। এছাড়া তাদের বাসায় ও অফিস গিয়ে দেখা করতে চেয়ে দেখা করতে পারেনি এ প্রতিবেদক।
এ বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা বলছেন, যারা এধরনের পরিস্থিতি তৈরি করছে তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অচিরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিআই/এসকে