ঢাকা, রবিবার, ১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
তানোরে অর্কিড স্কুল এন্ড কলেজে ফল উৎসব
আত্রাইয়ে দিনব্যাপী পার্টনার প্রকল্পের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ চেকপোস্ট
বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর বাসাবাড়ি-কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আ’লীগের ২৬ জনের নামে মামলা
ভারতীয় গণমাধ্যম নর্থইস্টের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ আইএসপিআরের
দেবহাটার খলিশাখালির ভূমি সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য কমেনি: প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা ঘের মালিকদের
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টুং টাং শব্দে মুখরিত সলঙ্গার কামারপট্টি
লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং লিবার্টির সভাপতি হলেন শরিফুল ইসলাম
খুলনা টাইগার্সের মালিক ইকবাল আল মাহমুদ গ্রেফতার
জলঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে তিন ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন
বিরামপুরে কৃষকদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
দলিল জালিয়াতির অভিযোগে কবি সানাউল হকের পুত্র সুমন ইত্তাদ মামুন পলাতক
ধরলায় শখের বঁড়শিতে ধরা পড়েছে ১০ কেজি ওজনের চিতল
রাজস্থলীতে ড্রাম ট্রাক দুর্ঘটনায় ৭ শ্রমিক আহত
টানা বৃষ্টিতে আখাউড়া উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে

ঝালকাঠি পৌরসভার ১৬ সড়ক যেন মরণফাঁদ

ঝালকাঠি পৌরসভার ১৬ সড়ক যেন মরণফাঁদ

গত কয়েক বছরে ঝালকাঠি পৌরসভার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট সংস্কার করা হয়নি। এর মধ্যে ১৬টি সড়কের বেহাল দশা। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় সড়কগুলো। আর খানাখন্দে ভরা সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে।

ঝালকাঠি পৌরসভায় সড়কের বেহাল দশা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝালকাঠি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রীড সড়ক ও স্ট্যান্ড সড়ক, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুতালড়ি, ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্র্যাক মোড় থেকে পৌরসভার সীমানাসহ বেশ কয়েকটি সড়কের বেহাল দশা। বছরের পর বছর ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কগুলো যেন মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। আর বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। অনেক সড়ক দিয়ে তো যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে সড়কের বেহাল দশায় দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী। ভারি বৃষ্টি হলে সড়কে ভোগান্তি বেড়ে যায় বলেও তারা অভিযোগ করেন। অনেক সময় সেই বৃষ্টির পানি ঘরবাড়িতে ঢুকে যায়। নিয়মিত পৌরকর দেয়ার পরও বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগে পৌরবাসী চরম বিক্ষুব্ধ।

পৌরসভার খেয়াঘাট এলাকার সুভাষ বিশ্বাস বলেন, ‘পৌরসভার মধ্যেই এমন বেহাল সড়ক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতাকেই প্রমাণ করে। প্রতিবছরই শুনি রাস্তা হবে, কিন্তু আর হয় না।’

শহরের স্ট্যান্ড সড়ক এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ‘পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার পানি ঘরে ঢুকে যায়। এভাবে আর কতোদিন ভোগান্তি পোহাতে হবে?

রিপন মল্লিক নামের একজন বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক সুবিধা বলতে আমরা কিছুই পাই না। অথচ নিয়মিত ট্যাক্স দিতে হয়।’

নাগরিক ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অলক সমাদ্দার বলেন, ‘এসব সড়ক মেরামতের প্রকল্প প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনও হয়েছে, তবে বর্ষা মৌসুমের কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব কাজ শেষ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রায় ৭০ হাজার মানুষের প্রথম শ্রেণির ঝালকাঠি পৌরসভায় মোট পাকা সড়ক রয়েছে ২১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বেশিরভাগ সড়কের বেহাল দশা।

শেয়ার করুনঃ