দুমকী উপজেলার ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ৮ জুলাই সোমবার সকাল ১০ টায় এ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, দুমকি উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আকন সেলিম, দুমকি উপজেলা পরিষদের পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান মাঈনুল ইসলাম রুবেল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার শিরিন প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে এ দিবস পালনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সর্বশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত: ১৯৯৪ সালের ২২অক্টোবর দক্ষিণাঞ্চল সফরের সময় লেবুখালীর বটলাতলায় এক পথসভায় বক্তৃতাকালে ক্ষমতায় গেলে দুমকীকে উপজেলায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ২০০০ সালের ০৮ জুলাই এক বর্ষণমুখর দিনে দুমকী প্রশাসনিক উপজেলার উদ্বোধন করেন। পরে বহু আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হিসেবে উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড.হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা পায় দুমকী উপজেলা। এর আগে এখানে একটি পুলিশি তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করেন সাবেক কেবিনেট সচিব ও মন্ত্রী মরহুম এম কেরামত আলী। মূলত সেখান থেকেই অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের চতুর্থ বৃহত্তম লেবুখালী (পায়রা) সেতু ও একটি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ উপজেলায় অবস্থিত। এছাড়া উপজেলার কোল ঘেষেই গড়ে উঠেছে শেখ হাসিনা সেনা নিবাস। দুমকী উপজেলায় বর্তমানে লেবুখালী, পাঙ্গাসিয়া, মুরাদিয়া, আঙ্গারিয়া ও শ্রীরামপুর নামে পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে। ৮০.৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট উপজেলাটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ।