
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন,ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ডিবির পক্ষ থেকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে সেগুলোর যথাযথ সদুত্তর দিলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর সদুত্তর দিতে না পারলে গ্রেফতার করা হবে।
বুধবার (১২ জুন) বিকেলে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুন বলেন,আমরা গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি সেগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্যই আমাদের আইওর (তদন্ত কর্মকর্তা) মাধ্যমে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা মিন্টুকে ডেকেছি। আমাদের তদন্ত কর্মকর্তার প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি তিনি যথাযথভাবে দিতে পারেন তবেই চলে যাবেন। তিনি যদি যথাযথ উত্তর না দিতে পারেন তবে আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের ধারাবাহিকতায় যা করা লাগে করবেন।
মিন্টুর নামও তদন্তে এসেছে কিন্তু তাকে এতদিন পর কেন ডাকা হলো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আছে যখন যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবেন। আপনারা জানেন আমরা কাউকে হয়রানি করি না এবং কেউ অপরাধী হয়ে থাকলে তাকে পালানোর সুযোগও দেই না। আমি আগেই বলেছি তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারলে তার (মিন্টু) বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হারুন বলেন,আমরা এ ঘটনায় বাবু নামে আরেকজনকে ঝিনাইদহ থেকে নিয়ে এসেছি। আমরা যখন কাউকে নিয়ে আসি কিছু তথ্য উপাত্ত তো আমাদের কাছে থাকে। তার ভিত্তিতে তাকে আমরা নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে আমাদের কাছে অকপটে স্বীকার করেছে এ ঘটনায় মূল কিলার শিমুল ভুঁইয়ার সাথে ভাঙ্গাতে (ফরিদপুরের ভাঙ্গা) সে মিটিং করেছে এবং তিনি সেখানে মৃত ব্যক্তির ছবি দেখিয়েছেন। আমরা পরবর্তীতে তাকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করলাম যে আপনারা ছবিটা কাকে দেখালেন তখন তিনি আরেকজন নেতার কথা বলেছেন। তাকে আরো জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তার মোবাইলগুলো কোথায়? সেও বলেছে সেগুলো আরেক নেতার কাছে।
তিনি জানান,বাবু তখন গাড়ীতে বসে একজন কিলারের সাথে মিটিং করেছে,গত ১৬-১৭ মে পরিকল্পনা করেছে যখন বাংলাদেশের পুলিশ ভারতীয় পুলিশ একজন জনপ্রিয় এমপির নিখোঁজে উদ্বিগ্ন।
এ ঘটনায় মুলকিলার শিমুল ভুঁইয়া হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর গত ১৫ মে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর তারা আসলে ১৬ মে চলে যান ভাঙ্গায়। সেখানে তারা মিটিং করেন বলেও জানান তিনি।
ডিআই/এসকে