ঢাকা, সোমবার, ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
আমতলীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা
মিরসরাইয়ে স্বপ্নের খৈয়াছড়া’র কার্যকরী পরিষদ গঠন, সভাপতি জাহেদ সম্পাদক নুর আহমেদ
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ছবির শেখকে গণপিটুনি
দেহ ব্যবসায়ীদের আস্তানা গুড়িয়ে ও পুড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী
আত্রাইয়ের আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতি’র শীলা
ফেনী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অর্ধদিনব্যাপী সাড়াশি অভিযান
নওগাঁ-ঢাকা বাস কাউন্টারে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিমের অভিযান
নবীনগরের সাংবাদিক গোলাম মোস্তফার ইন্তেকাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ১১ সদস্যের কমিটি গঠন
বোয়ালমারীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা,নিহতের পরিবারের দাবি খুন
বিস্ফোরক আইনের মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেফতার
রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কেরামত কাজী গ্রেফতার
পল্লবী থানার বিশেষ অভিযানে ৩০ মামলার আসামিসহ ১২জন গ্রেফতার
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে পিআরপি’র সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক
ঘোড়াঘাটে আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থার র্নিবাচনে সভাপতি লুইস :সম্পাদক মাইকেল

ঘোড়াঘাটের ফুটবল মাঠ ব্যবসায়ীদের দখলের অভিযোগ, সুরাহা মিলেনি আজও

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলার মাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে।ফুটবল মাঠের সিমানা প্রাচীর না থাকায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জআঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দখল করে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা । দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ঐতিহাসিক ফুটবল খেলার মাঠ। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত সবুজে ঘেঁড়া এই মাঠ। অনেক নামিদামি তারকা খেলোয়ার জন্ম নিয়েছে এই মাঠে।তবে সেই খেলার মাঠ গিলে খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। দিনদিন খেলার অনুপযোগীহয়েছে উপজেলার একমাত্র মাঠটি। প্রতিদিন বিকেল হলেই মাঠ ভরে উঠেখেলোয়ারের আনা গোনায়। চলে ফুটবল ও ক্রিকেটের অনুশীলন। দিন শেষেবিকেল থেকে রাত অবধি খোলা মাঠে র্নিমল হাওয়ার স্বাদ গ্রহণ করতে তরুন-যুবক থেকে নানা বয়সী মানুষে মুখরিত থাকে খেলার মাঠ। তবে সেই মাঠ এখন খেলোয়ারদের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দখল হয়ে গেছে মাঠের র্দশক সাড়ির দুই পাশ। ব্যবসায়ীদের থাবায় মাঠ এখন ব্যবসা কেন্দ্র। ব্যবসায়ীদের হাত থেকে মাঠকে রক্ষা করতে খেলোয়ারদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতার (ওসি) কাছে। তবে তাতেও কোন সুরাহা মেলেনি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাঠের র্পূবপাশে মহাসড়কের ধারঘেঁষে মাঠের জায়গায় গড়ে উঠেছে খাবারের দোকান হোটেল সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই দোকানগুলো ছিল আরো ১০ থেকে ১৫ ফিট দুরে। ঢাকা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট নামে ওই খাবার হোটেলের কাঠখড়ি রাখা হয়েছে মাঠের ভেতর। এছাড়াও হোটেলের ময়লা পানি ফেলা হয় মাঠের সীমানায়। এতে র্নদমায় পরিণত হয়েছে মাঠের একপাশ। সম্প্রতি সেখানে আবার গভীর কূপ খনন করেছে হোটেল মালিক। সেই কূপ ঢাকনা ছাড়া খোলা অবস্থাতেই ফেলে রাখা হয়েছে। এতে বিকেলে মাঠে খেলা দেখতে আসা শিশু-কিশোর যেকোন মুহুর্তেব সেখানে পড়ে গিয়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে।
একইভাবে র্পূবপাশে অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সবধরণের ময়লা আর্বজনা ফেলা হচ্ছে মাঠে। এতে ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছে মাঠের একপাশ। মাঠের উত্তরর্পূব কোণে এবং উত্তরপাশে আরেকটি খাবার হোটেল সহ চায়ের দোকান এবং বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। সেসব চায়ের দোকান ও হোটেলের ময়লা পানি ও আর্বজনা ফেলা হয় মাঠের ভেতরে। সেখানেও র্দীঘদিন আগে একটি ছোট্ট কূপ খনন করা হয়েছিল। মাঠের উত্তর পাশে র্দশকসাড়ির জায়গা দখল করে নদী থেকে উত্তোলন করা বালুর একাধিক পাহাড় গড়ে তুলেছে বালুব্যবসায়ী একটি চক্র। মাঠের জায়গা দখল করে জমিয়ে রাখা এসব বালুবিক্রি করা হয়সরাসরি মাঠ থেকেই। হালকা বাতাস উঠলেই এসব বালুউড়ে বেড়াচ্ছে মাঠে। খেলোয়ার, র্দশক এবং মাঠের ভেতর দিয়ে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষের শরীরের উপরে এবং চোখে গিয়েপড়ছে এ সব বালু। এতে ধীরেধীরে চোখের ক্ষতিতে পড়বে মাঠে নিয়মিত অনুশীলন করতে আসা খেলোয়াররা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহাসড়ক প্রশস্থকরণ কাজে মাঠের র্পূবপাশের এসব দোকান ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সড়ক প্রশস্তকরণ শেষ হলে ব্যবসায়ী ও দখলদাররা কৌশলে মাঠের র্দশকসাড়ির জায়গা দখল করে আবারো দোকানপাট গড়ে তোলে। আর মাঠে কেসি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ কতৃপক্ষকে ভাড়া দিয়ে মাঠে বালুর স্তূপ জমিয়ে ব্যবসা করছেন বালু ব্যবসায়ী চক্র। এমনটি দাবি স্থানীয়দের।
ঘোড়াঘাট কিংস ফুলবল একাডেমির সভাপতি কাউসার হাবিব বলেন, আমাদের একাডেমির খেলোয়াররা সহ অনেকে প্রতিদিন মাঠে অনুশীলন করতে আসে। ব্যবসায়ীদের কারণে মাঠটি দিনদিন খেলার পরিবেশ হারিয়ে ফেলছে। ময়লা আর্বজনার স্তূপ এবং র্নদমায় গিয়ে বল পড়ছে। ব্যবসায়ীদেরকে বাঁধা দিলেতারা উল্টো খেলোয়ারদেরকে বাজে মন্তব্য করে। আমরা ইউএনও বরাবর
লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে এখন র্পযন্ত প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সাবেক তারকা ফুটবলার হাফিজার রহমান বলেন, এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর মাঠে খেলাধূলা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। ক্রীড়াপ্রেমী ও সম্ভাবনাময় তরুন-যুবকরা খেলার সুযোগ না পেয়ে মাদকে ঝুঁকবে। মাঠে অনুশীলন করতে আসা খেলোয়ার মিম মন্ডল বলেন, মাঠের পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি খাল। লিজ দিলে মাছ চাষ করে খাওয়া যাবে।ঘোড়াঘাট উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, খেলোয়ারদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওর্য়াড কাউন্সিরলরকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। খেলাধূলার মাধ্যমে
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য মাঠের পরিবেশ রক্ষায় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে বসা হবে।

শেয়ার করুনঃ