
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সম্প্রতি অতিবাহিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউএনও কর্তৃক উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদেরকে হয়রানি করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত
পনে ১০টার দিকে নান্দাইলে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশত সাংবাদিকগণ প্রেস মিটিংয়ের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়ানির অভিযোগ তুলে ধরেন। সাংবাদিক মোহাম্মদ হান্নান মাহমুদের সভাপতিত্বে মোহাম্মদ এনামুল হক বাবুল ও শামছ-ই-তাবরীজ রায়হানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রেস মিটিংয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ
তাঁদের বক্তব্যে বলেন, ইউএনও অরুণ কৃষ্ণ পাল নান্দাইলে যোগদানের পর থেকে কর্মরত সাংবাদিকগণকে অহেতুক বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিকদেরকে পর্যবেক্ষক কার্ড ইস্যু করতে প্রথম থেকেই গড়িমসি শুরু করেন। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাংবাদিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা দেখিয়ে প্রথমে সাংবাকিদদেরকে কোন ধরনের পর্যবেক্ষক কার্ড প্রদান করা হবেনা বলে জানান। পরবর্তীতে বিষয়টি নান্দাইল উপজেলা পরিষদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম
মাসুমকে অবহিত করলে তিনি ইউএনওকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এতে ইউএনও একটি তদন্ত কমিটি করেন এবং পর্যবেক্ষক কার্ড যাছাই-বাছাই নামে কালক্ষেপন করতে থাকেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সাংবাদিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা অনুসরণ করেনি। ফলে নির্বাচনের পূর্বের দিন মঙ্গলবার দিবাগত ৯টা ৫০ মিনিটেও কোন সাংবাদিকগণকে পর্যবেক্ষক কার্ড
প্রদান করেননি। যেখানে অন্যান্য উপজেলায় নির্বাচনের এক-দুইদিন পূর্বেই পর্যবেক্ষক কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ইউএনও’র কার্যালয়ের দরজা সবসময় বন্ধ থাকে। সাধারণ জনগণ সেবা নিতে আসলে দরজার সামনে থাকা আনসার সদস্যের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হওয়ার পরেও ইউএনও’র নিকট থেকে সেবা গ্রহন করা মিডিয়াকর্মী সহ সাধারণ জনগণের জন্যও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল জানান, তাঁর ক্লাবের
সাংবাদিকদের একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা সমৃদ্ধ আবেদন গ্রহন না করায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইউএনও অরুন কৃষ্ণ পালকে আবেদন গ্রহনের নির্দেশ দিলেও নানা ধরনের অসহযোগিতা ও খামখেয়ালি আচরণ করেন। ফলে ইউএনও’র গাফিলতি ও ইচ্ছাকৃত হয়রানি কারণে কর্মরত সাংবাদিকগণ ক্ষুব্ধ হয়ে পর্যবেক্ষক কার্ড গ্রহন করা থেকে বিরত থাকার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। অপর এক সংবাদকর্মী মাহাবুব আলম খান
জানান, তিনি আমাদের নতুন সময় পত্রিকায় দীর্ঘদিন যাবত কাজ করেন, এই পত্রিকার নামে হাট-বাজার বিজ্ঞপ্তি বরাদ্দ হলেও তাকে না দিয়ে একই পত্রিকার প্রতিনিধিহীন অন্য আরেজকজনকে বিজ্ঞাপন প্রদান করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।