
অবরোধ শুরুর আগেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি অগ্নি:সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রবিবার ভোর সাড়ে ৬ টার মধ্যে দুষ্কৃতকারীরা যাত্রীবাহি এসব বাসসহ বিভিন্ন স্থানে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি জানান, ঢাকা সিটিতে ৭টি, ঢাকা বিভাগে ২টি, রাজশাহী বিভাগে ১টি, বরিশাল বিভাগে ১টি, রংপুর বিভাগে ১টি অগ্নি:সংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯টি বাস ও ১টি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় পুড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেট এর সামনে মিরপুর লিংক নামক একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, এরপর এলিফ্যান্ড রোডের মাল্টিপ্ল্যান সিটি সেন্টারের সামনে গ্রীন ইউনিভার্সিটির একটি বাস, সায়দাবাদের জনপথ মোড় এলাকায় রাইদা পরিবহনের একটি বাস ও গুলিস্তান পাতাল মার্কেট এর সামনে মনজিল পরিবহনের একটি বাস ও সাইনবোর্ডের সিদ্দিরগঞ্জ এলাকায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দূর্বৃত্বরা।
এছাড়া রাত পৌনে ১২ টায় ভেলার চরফ্যাশনের নতুন বাস স্টান্ডে যমুনা এক্সপ্রেসের একটি বাস, ভোর রাতে রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইল এলাকার সাদ্দাম মার্কেটের সামনে একটি বাস, শ্যামপুরের জুরাইন বালুর মাঠ এলাকায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাস, মিরপুর ৬ নম্বর এলাকায় একটি বাস ও গাজীপুরের ভোগরা এলাকায় একটি যাত্রীবাহি বাসে আগুন লাগার খবর আসে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে।
বিরোধীদলের চলমান আন্দোলনে কোন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা না ঘটলেও এই প্রথম আওয়ামীলীগের একটি পার্টি অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানাধীন বাদলপুর এলাকায় অবস্থিত আওয়ামীলীগের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় উশৃংখল কিছু দূর্বৃত্ব।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি ঘটনায়’ই দুটি করে ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
এসব ঘটনায় পুরো রাজধানীসহ পুরো দেশ জুড়ে জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় দুদিনের অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী ডাক দেয় তিনদিনের অবরোধ। সর্বাত্মক এ অবরোধে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বন্ধের কথা বলা হয়েছে।
ডিআই/এসকে