এতো সুন্দর ভূবনে কে না চায় বাঁচতে। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে ফুটফুটে, নম্র-ভদ্র, মেধাবী মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান ওরফে সজিব (২০) তেমনি বাঁচতে চায়। সবার প্রয়োজন সম্মিলিত আন্তরিক সাহায্য-সহযোগিতার আবেদন জানান। অর্থাভাবে ইতোমধ্যেই তার চিকিৎসা ব্যয় প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মনোহরপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও মোর্শেদা আক্তার দম্পতির ২ পুত্র ও ১ কন্যার মধ্যে মেহেদী হাসান সজিব সবার বড়। ওরা ভাইবোন সবাই মেধাবী। বাবা মনোহরপুর মরহুম ফজলুল হকের জামে মসজিদের জুম্মার নামাজের খতিব,ও ছোট একটি দোকানে চা,পান এর বিক্রেতা। স্নেহের সন্তান সজিব ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবরে পরিবারটি পাগলের মতো হয়ে পড়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রক্তরোগ ও ব্লাডক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক, হেমাটোলজি বিভাগ ডাক্তার মোহম্মদ মনিরুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করতে গিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে, সজিব ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বলে জানা যায়।
গত ৩ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মোহম্মদ মনিরুল ইসলাম (হেমাটোলজি বিভাগ, ওয়ার্ড- ৯০১, বেড-২৮, রুম নং ০৫) তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
সজিবের বাবা জয়নাল আবেদীনের কাছে চিকিৎসক ডাক্তার মোহম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেছেন, লাগাতার ৯০ দিন চিকিৎসা করলে সজিব ইনশাল্লাহ্ সুস্থ্য হবে। চিকিৎসায় সর্বসাকুল্যে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। গরীব পিতা-মাতার আদুরে সন্তান সজিব বাঁচার আকুতি নিয়ে আর্তনাদ করলেও পিতামাতা ও আত্মীয়-স্বজন চিকিৎসায় অক্ষম। সজিব সুস্থ্য হয়ে আগের মতো ফিরে যেতে চায় তার প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসহাকাবাদ আলিম মাদরাসা শিক্ষকসহ সহপাঠীদের নিকট।
তার পিতামাতা নিজ এলাকা ছাড়াও দেশের হৃদয়বান মানুষের নিকট, নির্বাচনী এলাকার সাংসদসহ সর্বোপরি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট মানবিক সাহায্যের আবেদন জানান।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ মোঃ জয়নাল আবেদীন সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-০৩২৯১০০০১০৭৬১, সোনালী ব্যাংক লি:, রাজাপুর শাখা, ঝালকাঠি। মোবাইল ও বিকাশ নম্বর- ০১৭২৯১০০০৬৫।