ঢাকা, রবিবার, ৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
পাঁচবিবিতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
টিআরসি নিয়োগে দালালমুক্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার আশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের
উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে রোগীদের দূর্ভোগ
চিলমারীতে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমির স্নান সম্পন্ন
বিএনপি নেতার ওপর বোমা হামলার প্রতিবাদে কয়রায় বিক্ষোভ মিছিল
লঞ্চে মুমূর্ষ নবজাতককে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করল কোস্ট গার্ড
আমতলীতে লঞ্চ ঘাট ও বাসস্ট্যান্ডে যৌথবাহিনীর অভিযান, জরিমানা আদায়
কালীগঞ্জে আমিনুর রহমান আমিনের গণসংযোগ শুভেচ্ছা বিনিময়
আমতলীতে হামলা, লুট ও পিটিয়ে দোকান দখলের অভিযোগ
দেওয়ানগঞ্জে মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ বাবা মৃত্যু
নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের ঈদ পুনর্মিলনী
জামায়াতে ইসলামীতে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসের কোনো সুযোগ নেই:রফিকুল ইসলাম
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করতে হবে
ভূরুঙ্গামারীতে মুভমেন্ট ফর পাঙ্কচুয়ালিটি’র সম্মেলনের উদ্বোধন
বিরামপুরে আগ্নিকান্ডে সনাতন পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই

মানবেতর জীবন,নুন আনতে পান্তা ফুরায় হাতপাখা বিক্রেতাদের

দুপুর ২টায় ঘর থেকে বেরিয়ে ফিরেন রাত্রি ১১টায়। আবার কখনো কখনো সকালে বের হয়ে ফিরেন মাঝরাতে। দুই হাতে বাহারি রঙের অগনিত হাতপাখা নিয়ে পায়ে হেটে হেটে ফেরি করে সংসার চলে তার। তবুও ঠিকমত চুলায় আগুন জ্বলেনা, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বলছিলাম ভাসমান তালপাখা ফেরিওয়ালা শফিকুল ইসলামের কথা। অনুকুল পরিস্থিতি প্রতিকুল হলেই সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যান শফিকুলের মত অগণিত হাতপাখা ফেরিওয়ালারা।

মোটকথা গরম পড়লেই হাতপাখার চাহিদা বাড়ে ফলে বেচাকেনাও ভালো হয় তাদের। কিন্তু গেল সপ্তাহ থেকেই চট্টগ্রামে কয়েকদফা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমায় বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। আর এতে করে আশানুরূপ উপার্জন না হওয়ায় সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শফিকুল ইসলাম নামক ভাসমান হাতপাখার এই ফেরিওয়ালা।

রায়হান নামের এক অফিস ফেরত ঘরমুখী ক্রেতার নিকট জানতে চায়লে তিনি জানান
প্লাষ্টিকের হাতপাখার চেয়ে তালপাতা দিয়ে বানানো হাতপাখার বাতাস আরামদায়ক। বিশেষ করে বিদ্যুৎ না থাকলেই এর প্রয়োজন বেশী। আর তাইতো শফিকুল ইসলাম থেকে পাখা ক্রয় করতে পেরে খুশি এই ক্রেতা।

শফিকুল ইসলামের কাছে তালপাতার পাখা, বেতেরপাখা, কাপড়ের হাতপাখাসহ তিন প্রকারের হাতপাখা আছে। ধরণ ও আকার অনুপাতে এসব হাতপাখার দামের মধ্যেও আছে ভিন্নতা। তবে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার মধ্যে হাতপাখা পাওয়া যায় তার কাছে। প্রতিটি পাখায় ১০ টা থেকে ৩০ টাকা লাভ হয় তার। এভাবেই গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার টাকার পাখা বিক্রি করতে পারলে আয় হয় তার ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আর এই সামান্য আয়েই চলে শফিকুলের সংসার। তবে তীব্র গরম পড়লে কিংবা লোডশেডিং বেশী হলে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকাও আয় করতে পারে বলে জানান তিনি। শফিকুল এসব হাতপাখা কিনেন নগরীর বকশীরহাট বাজার থেকে। গরমে তিন মাস হাতপাখা বিক্রি করলেও বছরের বাকীটা সময় প্লাষ্টিকের হেংগার বিক্রি করে সংসার চলে তার। ১ ছেলে ১ মেয়েসহ শফিকুলের ৪ সদস্যের পরিবার। ভাড়া করা বাসায় থাকেন নগরীর সেগুন বাগানে।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এইসব ব্যবসায়ীদের স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে টিকে থাকবে এই পেশা, পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান, আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

শেয়ার করুনঃ