কপিলমুনিতে লীজ ঘেরের বাসা থেকে জামিলা বেগম (৪৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ।এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধারকৃত লাশের সুরতহাল রির্পোট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৮.৩০ মিনিটের দিকে নিহত জামেলা বেগম বাড়ী থেকে বের হয়।
সারাদিন পর রাতে সে বাড়ীতে না ফিরলে জামেলা পুত্র নাজমুল হুসাইন তার মাকে খুঁজতে বের হয়। ব্যাপক খোঁজা-খুজির একপর্যায়ে রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে সলুয়ার বিল নামক একটি লীজ ঘেরের বাসার ভিতরে তার মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সে চিৎকার দেয়।এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তার মাকে উদ্ধার করে। কিন্তু তৎক্ষণে সে মারা যায়। সে মানষিক ও রোগ যন্ত্রনায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। এব্যাপারে জামেলা পুত্র নাজমুল হুসাইন জানান, আমার মা শারিরীক ভাবে অসুস্থ ছিল। ঘটনারদিন সে লীজ ঘেরের একটি বাসার ভিতরে মটকার বাসের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
সে পাইকগাছা উপজেলার প্রতাপকাটী গ্রামের মৃতঃ এনায়েত খাঁ স্ত্রীর।
এ বিষয়ে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশের এস আই শাহাজুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় কুন্ডু জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। শারিরীক ভাবে সে অসুস্থ ছিল।ধারণা করা হচ্ছে,দুর্গম বিলের ভিতর লীজ ঘেরের বাসাটিতে কেহ না থাকার সুযোগে সেখানে গিয়ে সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে।লাশের সুরতহাল রির্পোট শেষে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।