
আশুগঞ্জ থানার বিষ্ফোরক মামলায় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজকে অন্যায়ভাবে আসামী করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বৃহস্পতিবার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়-
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সম্পাদক।
তিনি প্রায় তিন যুগ ধরে দেশের বহুল প্রচারিত বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদিকতা করে আসছেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ইত্তেফাক, দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আই, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এবং দীপ্ত টিভিসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।
বর্তমানেও তিনি দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক একুশে আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক।
সংবাদ মাধ্যমে কাজ করার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিক সংগঠনগুলোতে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ১৯৯৫ সালে তার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব। তিনি ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক এবং ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। জনাব সেলিম পারভেজ সাংবাদিকদের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে আশুগঞ্জ থানায় বিষ্ফোরক আইনে রজ্জু করা একটি মামলায় রহস্যজনক কারণে সাংবাদিক সেলিম পারভেজকে ৬ নম্বর আসামী করা হয়েছে। অথচ মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সময়ে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি উপজেলা পরিষদের অফিস শেষ করে চিকিৎসার জন্য থেকে ঢাকায় যান। অথচ এলাকায় অবস্থান না করলেও একটি ভিত্তিহীন অভিযোগে একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিকে আসামী করার বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়। এ হাস্যকর মামলায় পুলিশের পেশাগত দায়িত্বশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
এ ঘটনায় আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ ও স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং অবিলম্বে উক্ত মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।