
দেশের অন্যতম ভৌগোলিক পণ্য (GI) হিসেবে খ্যাত ইলিশ মাছ রক্ষায় মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ৬ টি জেলা যথাঃ ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালি,চাঁদপুর , লক্ষীপুর,শরীয়তপুর জেলার মেঘনা নদীর ঊর্ধ্ব ও নিম্ন অববাহিকা, তেঁতুলিয়া নদী,আন্দার মানিক নদী, পদ্মা ও কালাবদর নদীর ৪৩২ কিলোমিটার এলাকার ০৬(ছয়)টি ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা করে।এর মধ্যে ৫(পাঁচ) টি অভয়াশ্রমে মার্চ –এপ্রিল ২ (দুই) মাস সকল প্রকার মাছ ধরা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ ছিল। ইলিশ মাছ রক্ষায় নৌপুলিশ জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা চালায়।সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কিছু অসাধু জেলে নদীতে মাছ শিকার করলে নৌ পুলিশ আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।নৌ পুলিশের সদর দপ্তর সহ বিভিন্ন ইউনিটের নৌ পুলিশ সদস্যরা পদ্মা,মেঘনাসহ অন্যান্য নদীতে টহলের মাধ্যমে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে।
২ মাস ব্যাপী এই অভিযানে মোট ৩৯ কোটি ৩১ লক্ষ ১৯ হাজার ৩ শত ৯৩ মিটার অবৈধ ভাবে মৎস্য শিকারে ব্যবহৃত জাল,৭৫ কেজি ৪৭৯ কেজি মাছ,৪১৯ টি নৌযান্ এবং ৩২০ টি মামলা করা হয়। এছাড়াও, এই অভিযানে মোট ২,৪৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে নৌ পুলিশ প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন,”বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে নৌপুলিশ দেশব্যাপী ঘোষিত ৬ টি ইলিশ অভয়াশ্রমে নিয়মিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে।আশা করা যায়,বাংলার ঐতিহ্য ইলিশ মাছের উৎপাদন বিগত যে কোন বছরের তুলনায় এবারে বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে যা বিদেশে রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিতে সরাসরি ভুমিকাপালন করবে।”
ডিআই/এসকে