
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মহাসড়কে নাশকতা, সহিংসতা ও পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১০ জনকে রাজধানীর গুলশানের একটি পাঁচতারকা হোটেলে থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব জানায়, আসামিরা গুলশানের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে বসে ঢাকা এবং সারা দেশে নাশকতার সব পরিকল্পনা করেছিল।
তবে হোটেল বা হোটেলগুলোর নাম বলেনি র্যাব।
বৃহস্পতিবার ( ২ নভেম্বর ) দুপুর র্যাব সদরদপ্তরে গ্রেফতারদের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই ১০ জন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে ৩১ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, ইট পাথর, ককটেল বোমা ফাটিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। পাশাপাশি তারা ঢাকা-সিলেট মহসড়কে টায়ার পুড়িয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্স, গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। তারা
তিনি বলেন, পরবর্তীতে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে একপর্যায়ে নরসিংদী টু ঢাকাগামী কয়েকটি গাড়ির গতিরোধ করে ভাংচুরসহ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষে মহাসড়কে বেশকয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব পরিচালক আরও জানান, হামলা ও নাশকতার পর জড়িতরা রাজধানীর গুলশান ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও নামীদামী হোটেলে নিরাপদে আত্মগোপনের জন্য অবস্থান করেন। নামীদামী হোটেলে অবস্থান করে তারা বিভিন্ন সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল এবং বিভিন্ন সহিংসতা ও নাশকতায় সরাসরি অংশগ্রহণ করছিল। গুলশান এলাকার স্বনামধন্য পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করে গ্রেফতারকৃতরা গুলশান এলাকায় নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. জুয়েল আহম্মেদ (৫২), মো. ইফসুফ আলী ভুইয়া (৬৯), মো. মাসুম শিকারী (৪৫), হাবিবুর রহমান সেলিম (৪৮), মো. শফিউদ্দিন ভুইয়া (৫১), মো. শফিউদ্দিন ভুইয়া (৪৮), মো. মাসুকুল ইসলাম (৫৩), মো. শাকিল মিয়া (৪০), মো. আরমান মোল্লা (৪৬) ও মো. হাবিবুর রহমান (৫৪)।
গ্রেফতারকৃদের আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানায় র্যাবের এই কর্মকর্তা।
ডিআই/এসকে