সাইদ সাজু, তানোর থেকে: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকায় ২ কোটি ৮৬ রাখ টাকা ব্যায়ে রাস্তা পাকা করণ ড্রেন নির্মানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক চলমান কাজ পরিদর্শন করছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত তানোর পৌর প্রশাসক লিয়াকত সালমান।
রোববার বিকালে তিনি তানোর পৌর এলাকার তালন্দ ও বাজে আকচা মহল্লায় পৃথক ২টি মাটির কাচা রাস্তা পাকা করণ চলমান কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তানোর পৌর সভার কার্য্যসহকারী মাহাবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোভিড ১৯ এর প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যায়ে তানোর পৌর এলাকায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার ছোট ছোট ৮টি নতুন রাস্তা পাকা করণ, ৩ টি নতুন ড্রেন নির্মান, ২ টি গোরস্তান ও ১টি ঈদ গায়ের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান কাজ শুরু হয়েছের। তানোর পৌর সভার উদ্যোগে রাস্তা ২টি পাকা করণের জন্য মাটি খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। নতুন রাস্তা নির্মানের জন্য মাটি খননের কাজ পরিদর্শন করেন তিন। এসময় তিনি জনসাধারণের বিবিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এবং নিয়ম অনুযায়ী ও সঠিক ভাবে কাজ করতে ঠিকাদারসহ পৌর কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
তানোর পৌর সভার নাগরিকরা বছলেন, তানোর পৌর সভা প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি তানোর পৌর এলাকায়। পৌর সভার নাগরিক হিসেবে প্রাপ্প নাগরিকরা কোন সুবিধা পায়না। বেশীর ভাগ রাস্তাগুলো এখনো মাটির কাচা রাস্তায় রয়ে গেছে। তানোর পৌর এলাকায় পাড়া মহল্লার ও রাস্তা ঘাটে এখনো জ্বলেনি বিদ্যুতের আলো। নেই খাবার সুপ্রিয় পানি সাপ্লায়ের ব্যবস্থা। সম্প্রতি এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডের খবরে পৌর বাসীর মধ্যে এক ধরনের উৎফুল্লতার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন ভাবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন নাগরিকরা।
এবিষয়ে তানোর পৌর সভার কার্য্যসহকারী মাহাবুর রহমান বলেন, আগেও উন্নয়ন হয়েছে। তবে, চাহিদার তুলনায় কম। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় তানোর পৌর সভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ৩য় শ্রেনীতেই রয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। এই ভাবে রাজস্ব আদায় বাড়তে থাকলে আগামীতে ১ম শ্রেনীর পৌরসভায় উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৌর সভার মান বাড়লে সরকারী বরাদ্ধ বেড়ে যাবে এবং উন্নয়নও বৃদ্ধি পাবে। নাগরিক সুবিধা পেতে পৌর বাসীকে নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
তানোর পৌর কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তানোর পৌর সভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকার দলীয় মন্ত্রী ও এমপিদের সাথে মেয়রদের টানা পড়েন ও রাজনৈতিক মতপার্থক্যে এবং দলীয় করণ ও আত্নীয় করণসহ স্বজন প্রীতির কারনে থমকে যায় উন্নয়ন কর্মকান্ড। অপর দিকে অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনেও সরকারী বরাদ্ধ ও আদায়কৃত রাজস্ব অর্থের সৎ ব্যবহার ও পরিকল্পনার অভাবেই তানোর পৌর এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমানে পৌর সভায় নাগরিক সুবিধা নিতে পৌর কর পরিশোধ বাধ্যতা মুলক করায় বেড়েছে উন্নয়ন ও কর আদায়।