পঞ্চগড়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের ঘটনায় সালিশি বৈঠকে উপস্থিত থেকে সমাধান করে দেওয়ায় শিশুসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে এক পক্ষ। জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বগদুল ঝুলা এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত শনিবার ৬ই এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টার দিকে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মোঃ আফাজ উদ্দিন (৪৯) বলেন, এলাকায় মোঃ শাহজাদা নামের একজনের একটি মুদি দোকান আছে।
ঐদিন সে দোকানে ছিল না। তার ভাই শাহজামাল দোকানে থাকা অবস্থায় মোঃ সোনামিয়া পূর্বের বকেয়া পরিষদ কে কেন্দ্র করে দশ টাকা নিয়ে বিবাদ তৈরি হয়। সেদিন আমাদের এলাকায় একটি বড় ইফতার মাহফিল ছিল। তর্কের এক সময় সোনামিয়া'র ছেলে মোঃ লিটন ইসলাম ও মোঃ নজরুল ইসলাম ভুট্টু ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে দোকানে হামলা করে।
পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলে এর সমাধান করে দেই। সমাধানের সময় আমি উপস্থিত থাকার কারণে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন সবাই ঘটনার স্থল থেকে ইফতার মাহফিলে চলে যায়। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে পাশেই জমিতে থাকা বেগুনের বস্তা বাড়িতে নিয়ে আসার কাজ করতে ছিলাম।
এমন সময় আমার ছেলে আরাফাত খান (১৩)'কে তারা মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে তারা হাত ভেঙ্গে যায়। পর্যায়ক্রমে মোঃ সালাম (১৭), মোঃ নবাব (১৭), মোঃ মোতালেব হোসেন (১১) কে মারপিট করে মাটিতে ফেলে রাখে। আমি এগিয়ে গেলে সবাই আমাকে মারপিট করে। পরে ইফতার মাহফিলে থাকা লোকজন ছুটে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। মোঃ সোনামিয়া তার দুই ছেলে নজরুল ইসলাম ভুট্টু ও লিটন সহ মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ সবুজ, মোঃ চান্দু, মোঃ হামিদুল ইসলাম, মোছাঃ স্মৃতি, মোছাঃ লিখছনা বেগম, মোছাঃ নুরজাহান সকলেই পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এসে আমাদের সবাইকে নির্মমভাবে মারপিট করে। বিষয়টি নিয়ে মোঃ সোনা মিয়া এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার খুবই অসহায়।
আমরা ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে সোনামিয়া সহ দশ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলে আদালত- ৩, বোদা পঞ্চগড়ে মামলা করেছি। আমরা আশাবাদী সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিব।