
বরগুনার আমতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ মাছ ও সম্পত্তি
লুটপাট করে খাওয়ার অভিযোগ করেছেন আমতলী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর হাবিবুর রহমান।
কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান জানান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে একটি জামে মসজিদ রয়েছে আমরা মুসুল্লীরা ঈমাম সাহেবকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলে বেতন দেই। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ মাছ পুকুর লুটেপুটে খায় ওর্য়াক এ্যাসিস্ট্যান্ট আলমগীর হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, ওয়াপদা মসজিদ সললগ্ন একটি বড় পুকুর রয়েছে।প্রতিবছর পকুরের বড়বড় মাছ ওর্য়াক এ্যাসিস্ট্যান্ট আলমগীর হোসেন বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায় । এবং প্রতিবছর পোনা চাষীদের কাছে পুকুর ভাড়া দিয়ে ৬০/৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় আলমগীর হোসেন। এছাড়া ও আলমগীর হোসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের বাউন্ডারির মধ্যে প্রায় বড়বড়
রেইনট্রি গাছের ডালপালা বিক্রি করে দেয়। এখানেই থামেনি আলমগীর হোসেন বাউন্ডারির মধ্যে বিভিন্ন গাছের ফল বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা নেয়। বছরখানেক আগে আলমগীর
হোসেন বাউন্ডারীর মধ্যে যায়গায় টিসেচ বিল্ডিং নির্মান করে ভাড়া দিয়েছে।
স্থানীয় যুবক শাহিন বলেন, আমরা স্থানীয় যুবকরা জন্মের পর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠে খেলাধুলা করে আসছি। এই মাঠে মেয়র কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মেয়র কাপ ক্রিকেট ম্যাচ
খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সম্প্রতি আমরা এলাকার যুবকরা মাঠে বল নিয়ে খেলতে গেলে ওর্য়াক এ্যাসিস্ট্যান্ট আলমগীর হোসেন আমাদের খেলতে নিষেধ করেন। বাপ মা উঠিয়ে গালাগালি করেন । আর বলেন গরুকে ঘাঁস খাওয়ানোর জন্য মাঠে সার দিয়েছি। তোরা আর এই মাঠে খেলতে আসবিনা।
স্থানীয় অন্যান্য যুবকরা জানান, খেলার মাঠে আমাদের খেলা করতে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।এব্যাপারে অভিযুক্ত ওয়ার্ক এ্যাসিসট্যান্ট মো. আলমগীর হোসেন বলেন, পুকুর ভাড়াদিয়ে মসজিদে টাকা দেই। কিন্তু মসজিদের ঈমাম বলেন, ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ট আমাকে কোন টাকা দেয় না\ অন্যান্য বিষয় আলমগীর কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন , বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।