
পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষের পর এখনো থমথমে মিরপুর। সংঘর্ষের পর পুলিশ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিলেও এখনো দাবি আদায়ে সড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে মিরপুর সাড়ে ১১ নাম্বার এলাকার কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। পরে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা এসে তাদের সড়ক ছাড়তে বলে। রাজি না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় গার্মেন্টসসহ কয়েকটি স্থাপনা এবং যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, তারা সকাল থেকে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। বিক্ষোভে মিরপুর সাড়ে ১১ নাম্বার এলাকায় থাকা ডেকো রেডওর্ডস, ডেকো এপারেলস, ইপিলন, ডেকো নীড, কংকড, ইভেন্টস গ্রুপ, টিউলিপ, আলানা গ্রুপ, আজমত গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা যোগ দেন। কিন্তু আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার জন্য মালিকপক্ষ রাজনৈতিক লোকজনকে দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা করিয়েছে। হামলায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। আহতদের মিরপুর-১১ নাম্বারে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে তারা আন্দোলন করছেন। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
ডিআই/এসকে