
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সূর্য মাঝি (৫৫) নামের এক জেলের জালে এক ক্ষ্যাওয়ে (একবার জাল টানা) ধরা পড়ছে ১৩০ মন ইলিশ। শুক্রবার রাতে এসব মাছ বিক্রির জন্য আলীপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সাগরে এসব মাছ ধরা পড়ে। গত বুধবার সর্য মাঝি ১৭ জেলে সহ বাঁশখালীর আল্লাহর দয়া-১ নামের একটি ট্রলার নিয়ে আলীপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়। একবার জাল টান দেয়ার পরই প্রচুর পরিমানে ইলিশ ধরা পড়ায় পুরো মাছ ট্রলারে তুলতে না পেরে অর্ধেক জাল সাগরে ফেলেই চলে আসে তারা। এসব ইলিশের দাম ৪০ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস্য ব্যাবসায়ীরা।
মাছ পাওয়া ট্রলারের জেলে সূর্য মাঝি বলেন,গত মঙ্গলবার চারটি সেইলফিস বিক্রি করে বুধবার আমরা সাগরে গিয়ে প্রথম টান দেওয়ার পরই জাল ভর্তি মাছ ওঠে। এর আগে কখনো আমাদের জালে এতো বেশি পরিমাণ মাছ ধরা পড়েনি। পরে আমাদের ট্রলার লোড হয়ে যাওয়ার কারণে অর্ধেক জাল সাগরে মাছসহ ফেলে চলে আসি। শুক্রবার রাতে সাড়ে আঠাশ মন মাছ ৫৬০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। শনিবার ৬০০০ পিচ নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে। বাকি মাছ কত টাকায় বিক্রি হতে পারে সেটা এখনো বলতে পারছি না।
আলিপুর মৎস্য বন্দরের খান ফিশের স্বত্বাধিকারী রহিম খান জানান, স্থানীয় পাইকারদের মাধ্যমে কিছু মাছ বিক্রি করা হয়েছে, বাকি মাছ আগামীকাল বিক্রি করা হবে। কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে বেশির ভাগ জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে। বৃষ্টি শুরু হলে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে বলে আশা করছি।