ঢাকা, রবিবার, ৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
একুশে পরিবহনে মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া,ঘটনাটি ডাকাতি নয় বলছে পুলিশ
পূর্ব শত্রুতার জেরে অটোরিক্সা চালক হত্যা,গ্রেফতার ২
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: ক্ষতিপূরণসহ চাকরি পুনর্বহালের দাবি বিডিআর সদস্যদের
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
শাহবাগে ফুলের দোকানে আগুন: ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ ও হাইড্রোজেন সিলিন্ডার ছিল বিপদের কারণ
সরকারি সফরে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান
বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
পঞ্চগড়ের বোদায় গুম, খুন, ছিনতাই, ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
ফুলবাড়ী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলনী
চাঁদাবাজির অভিযোগে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে শোকজ
রাজধানীর’ খেতাপুড়ি ‘দখল করেছে পটুয়াখালীর ঝাউবন
ঝিকরগাছায় কিশোরকে বস্তা কিনতে পাঠিয়ে ভ্যান নিয়ে চম্পট
১৭ বৎসর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ,দরকার হলে আবারো নামা হবে: আজিজুল বারী হেলাল
পাঁচবিবিতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
টিআরসি নিয়োগে দালালমুক্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার আশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের

শেরপুরে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী ১৫ বছর পর ঢাকায় গ্রেপ্তার

২০০৯ সালে শেরপুরের শ্রীবরদীতে চাঞ্চল্যকর সেনাসদস্য হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪, জামালপুর। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে ঢাকার পলওয়েল সুপার মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাবুল মিয়া ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের আলী হোসেন এর ছেলে।র‌্যাব জানায়, ভিকটিম বটন কান্তি বড়ুয়া চট্টগ্রাম জেলার কোতয়ালী থানার আনোয়ারা এলাকার বাসিন্দা ও সেনা সদস্য ছিলেন। চাকুরির সুবাধে ভিকটিম স্ব পরিবারে ঢাকার মাটিকাটা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করতেন। অপরদিকে বাবুল মিয়া একি এলাকায় বসবাস ও সবজির ব্যবসা করতো। ওই সুবাদে তাদের মধ্য সখ্যতা গড়ে উঠে। এবং সখ্যতার একপর্যায়ে ভিকটিমের স্ত্রীর গর্ভে ছেলে সন্তান ধারণ না হওয়ার বিষয়টি আসামী মো. বাবুল মিয়াকে জানায়। এরপর ভিকটিম বটন কান্তি বড়ুয়াকে আসামী মো. বাবুল মিয়া সাথে নিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ষাটকাকড়া গ্রামে হাবিবুর রহমান কবিরাজের বাড়ীতে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসার টাকা নিয়ে তাদের মধ্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভিকটিম বটন কান্তি বড়ুয়াকে হত্যা করে লাশ কবিরাজ হাবিবুর রহমানের ঘরের মেঝেতে পুতে রেখে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করার পর তারা উভয় পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার ৪ দিন পর ভিকটিম বটন কান্তি বড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্য ছোটন বড়ুয়া বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৫, তারিখঃ ১৪/০৪/২০০৯ ইং, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ প্যানাল কোড । তদন্তকারী অফিসার মামলা তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ঘটনার পর থেকেই আসামী মো. বাবুল মিয়া আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ আসামী মো. বাবুল মিয়া জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মো. মোস্তফা কামাল ছদ্মনাম ধারন করে সবজি বিক্রেতার পেশায় নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে, বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, শেরপুর গত ০৩/১০/২০১১ ইং তারিখে আসামী মো. বাবুল মিয়াকে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার রায় প্রদান করেন।

পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদীর নেতৃত্বে এবং মেজর আহনাফ রাসিফ হালিম, র‌্যাব-১, সিপিসি-২, উত্তরা,ঢাকা এর.সহায়তায় র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামী বাবুল মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করার নিমিত্তে ঝিনাইগাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ