1. alamgirhossen6085@sokalerkhobor24.com : alamgirhossen6085 :
  2. dinislam1144@sokalerkhobor24.com : Din Islam : Din Islam
  3. litonakter@sokalerkhobor24.com : litonakter :
  4. nalam.cht@sokalerkhobor24.com : nalam.cht :
  5. info@sokalerkhobor24.com : sokalerkhobor24 :
  6. admin@sokalerkhobor24.com : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নওগাঁর সাবেক এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা কুড়িগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু আর নেই কলাপাড়ায় ক্ষতিকারক সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সম্প্রদায় বিষয়ক সংলাপ নওগাঁ জেলা যুবলীগ সভাপতি গ্রেফতার নাইক্ষ্যংছড়িতে মাদক-চোরাচালান রুখতে বিজিবির সচেতনতা সভা:আহত ৬ জনকে আর্থিক সহায়তা নকলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্ত নগর ট্রেনের টিকিটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার আনোয়ারা থানা পুলিশ কর্তৃক দেশি-বিদেশী অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার ১ কুড়িগ্রামে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে গণ অধিকার পরিষদের পদযাত্রা বুড়িগঙ্গায় ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

“৭ লাখ টাকা না দেওয়ায় ধর্ষণের মিথ্যা মামলা! মিরপুরে শিক্ষকের জীবন ধ্বংসের চেষ্টা”

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫
  • ২৯৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

অভিযোগ ধর্ষণের, কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে এলো মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির প্রমাণ। মোবাইল লোকেশন, কল রেকর্ড এবং সাক্ষীদের বয়ান সবই ইঙ্গিত দেয়—মিরপুরের এক অধ্যক্ষকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। এই মামলার পেছনের সত্য কি সামনে আসবে?

রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক আয়া সাগরিকা বেগম মনি গত ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল ২,ঢাকাতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলা তদন্তের জন্য ওসি পল্লবীকে দায়িত্ব প্রদান করেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি২০২৫ ইং তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দী, ডি.এন.এ টেষ্ট, মোবাইল লোকেশনসহ সমস্ত তথ্য যাচাই বাচাই করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, এ মামলা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিক্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্যেশ্যপ্রোনোদিত।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, বাদীনি কয়েকজন কূচক্রী-স্বার্থান্বেষী শিক্ষকদের কুপরামর্শে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে অত্র পিটিশন মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয ১৭/৭/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৩ ঘটিকার সময় মীরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের ২য় তলায় অধ্যক্ষের বাসায় বিবাদী ধর্ষিত হয়। বাদীর ব্যাক্তিগত মোবাইল এর কললিষ্ট সংগ্রহ পূর্বক পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, উক্ত তারিখ ও সময়ে বাদী/ভিক্টিম মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকায় অবস্থান করিতেছিলেন। এতে স্পষ্টতই প্রমান হয় যে, এটা একটা মিথ্যা সাজানো মামলা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তা ছাড়া ভিক্টিমের ডি.এন.এ পরিক্ষার ভ্যাজাইনাল সোয়াব এ পুরুষের বীর্যের উপাদানের উপস্থিতি শনাক্ত হয়নি।

বাদির মানিত একজন স্বাক্ষী মোঃ লতিফ মোল্লার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তিনি অনেক বছর আগে মীরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের চাকুরী ছেড়েছেন। তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হবার আগে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না । তাছাড়া তাকে না জানিয়ে স্বাক্ষী করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি গত ৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে পল্লবী থানায় দায়ের কৃত জিডি নং ৬৩২ এ উল্লেখ করেছেন যে, এ মামলার ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। মামলা হবার পর বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, এ রকম একটা মামলা হয়েছে। তাছাড়া তিনি এও বলেছেন যে, অধ্যক্ষ অনেক ভালো মানুষ।

মামলার বাদীর মানিত আর এক স্বাক্ষী তানভীর শেখের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তিনি এ মামলার বিষয়ে মামলা হবার আগে পড়ে কিছুই জানেন না। যে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, সে বিষয়ে তাকে না জানিয়ে স্বাক্ষী করায় তিনি অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি গত ১৯/৬/২০২৫ তারিখে বাদীর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় জিডি নং ১৩৬৮ দায়ের করেন।

এদিকে প্রতিষ্ঠানের ২০৮ জন শিক্ষক কর্মচারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিষ্ঠানের কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দরখাস্ত দিয়েছেন যে, সাগরিকা বেগম মনি গত ১৯ জুলাই /২২ তারিখে চাকুরী ছেড়ে যাওয়ার পর কখনো স্কুলে আসেননি। শুধু অধ্যক্ষের চেয়ার দখলের জন্য ৩/৪ জন ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষক সাগরিকা বেগম মনিকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন, যা ইতিমধ্যে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

মামলা করার আগে কলেজ শাখার সাবেক শিফট কো-অর্ডিনেটর জনাব সাফকাত ইসলাম নিজামীর কাছে মামলার বাদী সাগরিকা বেগম মনি ফোনে অধ্যক্ষকে অশালীন ভাষায় গালি-গালাজ করে বাদি বলে যে, অধ্যক্ষ আমার চাকুরি খেয়েছে। চাকুরীর ক্ষতিপূরন সহ-চাকুরী ফেরত না দিলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সহ বড় ধরনের ক্ষতি করবো। এর প্রমানক হিসেবে তাদের দুজনের কথপথনের অডিও রেকর্ড রয়েছে। এই হুমকির পর অধ্যক্ষ গত,২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে, সাগরিকা বেগম মনি ও তার সহযোগি সাংবাদিক মিজানুর রহমান মোল্লাহর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় জিডি নং ১৯৯২ দায়ের করেন। বাদীর বিরুদ্ধে জিডি করার অনেক পড়ে ৩১ অক্টোবর /২৪ তারিখে মামলা দায়ের করেন। এতে স্পষ্টতই প্রমান হয় শুধু মাত্র দাবি কৃত্ব ৭ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় এরক একটা মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

মামলা করার আগে বাদীর সহযোগী সাংবাদিক মিজানুর রহমান মোল্লাহ অধ্যক্ষকে ফোন করে বলেন যে, আপনি সাগরিকা বেগম মনির চাকুরী খেয়েছেন।

তাই চাকুরীর ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে। না দিলে মনি মিথ্যা মামলা করবে। অধ্যক্ষের সাথে মিজানুর রহমান মোল্লাহর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড রয়েছে।

শুধু এখানেই শেষ নয়, সাগরিকা বেগম সম্পর্কে অতীত তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে—প্রতিষ্ঠানের বালক শাখার নাইট গার্ড লিটনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি, যখন তিনি নিজেই বালিকা শাখায় আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মচারীর ভাষ্যমতে, সাগরিকা তাকে নানা সময় ব্ল্যাকমেইল করতেন, যার চাপে লিটন এক পর্যায়ে আত্মহত্যায় বাধ্য হন।

শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাগরিকা বেগম মনির সঙ্গে লিটনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এটি নিয়ে লিটনের পরিবারে বড় ধরনের পারিবারিক ঝামেলা তৈরি হয়। একপর্যায়ে লিটনের বাসায় পারিবারিক সালিশে মনি কুরআন ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি আর সম্পর্ক রাখবেন না। যার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে, গত ৮/৭/২৪ তারিখে লিটন আত্মহত্যা করেন। সাগরিকা বেগম মনি চাকুরী ছাড়ার কারণ হিসেবে পারিবারিক সমস্যা দেখালেও শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, তিনি আসলে মামলা হতে বাঁচতেই স্বেচ্ছায় চাকুরী ত্যাগ করেন। এরপর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাংবাদিক মিজানুর রহমান মোল্লাহর সহযোগিতায় ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন। অধ্যক্ষ সেই টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা (নং ৯৯/২০২৪) দায়ের করেন, যাতে কলেজের ২-৩ জন শিক্ষক সহায়তা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৭/৭/২০২৪ ইং তারিখে বালক শাখায় অধ্যক্ষের বাসভবনে বাদি ধর্ষিত হয়। শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, অধ্যক্ষের বাসভবনের ভেতরে, বাসভবনের গেটের সামনে, বালক শাখার গেটের সামনে সহ পুরো বালক শাখা প্রায় ১৫০টি সিসিটিভি ক্যমেরা দ্বারা পরিবেষ্টিত রয়েছে।

শিক্ষক কর্মচারীরা বলেন যে, ১৯/৭/২০২২ তারিখে চাকরি ছেড়ে যাবার পর আর কখনো প্রতিষ্ঠানে আসেননি। আরও বলেন যে, অধ্যক্ষের বড় মেয়ে ২০২৪ সালে এইচএসসি পাশ করেছে, মেঝ মেয়ে ৮ম শ্রেনীতে পড়ে এবং ছোট মেয়ে রয়েছে। তার বাসায় সব সময় একজন গৃহকর্মী রয়েছে। এতগুলো মানুষ বাসায় থাকা অবস্থায় কাউকে ধর্ষন করা অসম্ভব। জুলাই মাসে ধর্ষন হলেও অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখে মামলা হয়। ঘটনার প্রায় ৪মাস পর মামলা হওয়ার একটাই কারন, সিসিটিভি ক্যামেরায় যাতে ধরা না পড়ে।

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ এর কাছে সাংবাদিক মিজানুর রহমান মোল্লাহর টাকা চাওয়ার কল রেকর্ড এবং সাগরিকা বেগমের হুমকি ও মিথ্য মামলা করার একাধিক কল রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে, যেখানে তারা দুজনেই মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। অধ্যক্ষ ওই অর্থ না দেওয়ায়, তাকে এমন এক নোংরা ও নরকীয় ঘটনায় জড়িয়ে তার দীর্ঘদিনের পরিচ্ছন্ন ও সম্মানিত ইমেজ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেন তারা।

এসব তথ্য থেকে ধারণা করা যায়, মামলাটি পূর্বপরিকল্পিত ব্ল্যাকমেইল ও প্রতিহিংসার অংশ, যার মাধ্যমে একজন সম্মানিত শিক্ষকের সামাজিক, পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে চরম আঘাত হানার চেষ্টা করা হয়েছে। নারী যদি তার পরিচয়কে অস্ত্র করে মিথ্যার আশ্রয়ে নির্দোষ কাউকে ফাঁসায়, তা কেবল এক ব্যক্তিকে নয়, পুরো সমাজ এবং প্রকৃত নিপীড়িত নারীদের আস্থাকেও ধ্বংস করে দেয়।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ বলেন, “আমি একজন শিক্ষক, একজন পিতা, সমাজের একজন দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে আমার জীবন সবসময়ই সরলতা আর সততার সঙ্গে কেটেছে। আজ একটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার মাধ্যমে আমাকে সমাজের চোখে হেয় করার অপচেষ্টা চলছে। আমি বিশ্বাস করি—সত্য কখনো চাপা থাকে না। আইন-আদালতের মাধ্যমেই আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবো। ইতিমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তের আমি নির্দোষ প্রমানিত হয়েছি। আমি দেশবাসীর কাছে শুধু ন্যায়বিচার চাই। একজন শিক্ষকের জীবন নিয়ে যারা এভাবে ছিনিমিনি খেলছে, তাদের মুখোশ একদিন উন্মোচিত হবেই।”

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সকালের খবর ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।
Developed By UNIK BD
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com