
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ছাদে গেলে মনে হবে যেন একটুকরো সবুজ স্বর্গ। ছাদে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফলের চাষ করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকৃষিবিদ রাশিদুল কবির। ছাদেই শোভাপাচ্ছে ড্রাগন, কমলা, আপেল, মালটা, আম, কামরাঙা, আঙ্গুর, আমড়া, কদবেল, তেঁতুল, বেদানা, ডালিম, লটকন,আপেলকুল, লেবুসহ নানা ফলফলাদির গাছ।এমন কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
উপজেলা পরিষদ অফিস ভবনের ছাদে সকলকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে কৃষি বাগানটি গড়ে তুলেছেন উপজেলা কৃষি দপ্তর। ছাদের ওপরে সারিবদ্ধভাবে বড় ড্রামের টবে মাটি ভরাট করে প্রতিটি টবে ড্রাগন, কমলা, আপেল, মালটা, আম, কামরাঙা, আঙ্গুর, আমড়া, কদবেল, তেঁতুল, বেদানা, ডালিম, লটকন,আপেলকুল, লেবুসহ নানা ফলফলাদির গাছ।অনেক গাছে ফলও ধরেছে,সেগুলো মিষ্টি ও সুস্বাদু।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির জানান, নিজস্ব অর্থায়নে ও পরিচর্যায় তিনি ছাদকে ফলদ বাগানে পরিণত করে তুলেছেন। বাগানটি গড়তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন তার অফিসের অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তাও।
তিনি আরো বলেন, ছাদ কৃষিতে খরচ কম হয়। এতে পরিবেশ সুন্দর থাকে। ছাদ কৃষির সবচেয়ে ভালো উপকারিতা হচ্ছে এটা পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এ ছাড়াও ভবনের ছাদে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন বিষমুক্ত ফল-সবজি খেতে পারেন। এতে একাধারে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে তেমনি নিজেদের চাহিদাও মিটবে। তিনি সকলকে ছাদ কৃষিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।কৃষি অফিস থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেয়ার ও আশ্বাস দেন তিনি।