
ডেস্ক রিপোর্ট:ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে সিলেন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই পরিবারের একমাত্র মেয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাথী আক্তার মৌ দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্নে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহতরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম ওরফে নান্নু মিয়া (৬২), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০)ও ছেলে কলেজছাত্র সোহাগ হোসেন (১৯)। তাদের বাড়ি ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায়। তারা মোকামটোলা এলাকার আমেরিকা প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়ার চারতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন। গত বুধবার (২৭ মার্চ) ভোররাতে পৌরসভার মোকামটোলা এলাকায় সাহরির জন্য রান্না করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গত বুধবার ধামরাই থেকে দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের চারজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে গতরাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নুরুল ইসলাম ৪১ শতাংশ দগ্ধ, আজ দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম ৯০ শতাংশ দগ্ধ ও দুপুর পৌনে বারোটার দিকে তাদের ছেলে সোহাগ হোসেন ৪১ শতাংশ অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় তাদের একমাত্র মেয়ে সাথী আক্তার ১৬ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত নুরুল ইসলামের ভাই ফরহাদ হোসেন জানান, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনার পর ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে। স্বজনদের ধারণা, লিকেজ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে তারা দগ্ধ হয়েছেন। গতরাতে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আমার বড় ভাই আর আজ দুপুরের দিকে তার স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে মারা গেছেন। এই ঘটনায় তার একমাত্র মেয়ে শেখ হাসিনা বার্ন চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভাই আমাদের পরিবারের অবস্থা বর্তমানে কি তা আপনারা বুঝতে পারছেন আমরা এ বিষয়ে এখন আর কোন কথা বলবো না। আমরা পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি আপনাদেরকে জানাবো।