ঢাকা, সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের পরিবারের দায়িত্ব নিল
পঞ্চগড়ের বোদায় ৩১ শয্যার জনবলে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল
চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের বর্ধিত সভা
পাঁচবিবিতে ধুরইল আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে পুরস্কার বিতরণ
মিরপুরের বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীতে ৭০৪ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যকে নিয়ে টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু
এলজিইডির প্রকল্পের টাকায় স্ত্রীকে গাড়ি-বাড়ি কিনে দিচ্ছেন পরিচালক
মিরপুরের বস্তিতে আগুন
খুলনায় যানজটমুক্ত নগরী গড়তে ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ
আ.লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় মিছিলের চেষ্টা, ১১ নেতাকর্মী আটক
জলঢাকায় কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
তানোরে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনের নামে হত্যা মামলা গ্রেপ্তার ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমিন বাজার ল্যান্ডফিল আকস্মিক পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক
জমি দখল ও হয়রানির অভিযোগে রায়পুরে সংবাদ সম্মেলন

ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে বিক্রি হচ্ছে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিটও

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদযাত্রা সামনে রেখে নড়েচড়ে বসছেন লঞ্চ মালিকরা। বিক্রি হচ্ছে কেবিনের অগ্রিম টিকিটও। যাত্রী বাড়বে, এমন আশায় সব রুটেই বাড়ানো হচ্ছে লঞ্চের সংখ্যা। যাত্রীর চাপ সামলাতে নানান প্রস্তুতি নিয়েছে নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যানজটে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ।

রাজধানীর সদরঘাটে বছরজুড়ে এখন আর থাকে না ভিড়। নেই সারিবদ্ধ লঞ্চের দীর্ঘ লাইনও। পদ্মা সেতুর প্রভাবেই এই অবস্থা। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বেশি কিছু রুটের নৌ চালাচলও।
তবে, ঈদে যাত্রী বাড়বে, এমন আশায় চলছে জোর প্রস্তুতি। বিক্রি হচ্ছে কেবিনের অগ্রিম টিকিটও। যাত্রীরা বলেন, এখন টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। আগে তো পাওয়াই যেত না। আগে লঞ্চের একটা টিকিট চাইতে গেলে হয়ত এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখত। মন চাইলে দিত, না হলে দিত না। আজকে অবস্থা হলো, তারা টিকিট নিয়ে ঘুড়ছেন।

লঞ্চ মালিকরা বলছেন, ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ। ঢাকা বরিশাল রুটে ঈদের ছয় দিন আগ থেকে প্রতিদিন ছয়টি করে লঞ্চ চলবে। তাদের মতে, বর্তমান বাস্তবতায় ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চালানোর কোনো সুযোগ নেই। ঢাকা–পটুয়াখালি, ঢাকা–চাঁদপুর যে লঞ্চগুলো চলছে এগুলো আসলে বড় লঞ্চ। এগুলো অত্যাধুনিক।

বিআইডব্লিউটিএ বলছে, যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে গন্তব্য যেতে পারে সে জন্য নেওয়া হয়েছে সব রকমের ব্যবস্থা। সদরঘাটে বসছে চারটি ডিজিটাল ডিসপ্লে। যার মাধ্যমে লঞ্চের অবস্থান ও ছেড়ে যাওয়ার তথ্য জানতে পারবেন যাত্রীরা।

সংস্থাটির পরিচালক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন,প্রতিটি লঞ্চ যাতে করে অতিরিক্ত যাত্রী না নিতে পারে তার নিশ্চিত করতে এবং কালবৈশাখীর সংকেত মাস্টারদের মধ্যে ট্রান্সমিট করার জন্য আমরা যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করি। আমাদের নদী বন্দরের মাস্তুলে একটি সিগন্যাল দেওয়া আছে। পাশাপাশি আমাদের যে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আছেন তারা তাৎক্ষণিকভাবে মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নৌপথে টহল টিম থাকবে। নৌপুলিশের থাকবে, কোস্ট গার্ডের থাকবে।

২০২৩ সালের বুয়েটের সমীক্ষা বলছে, ঈদের দিন তিনেক আগে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রতিদিন ১ লাখ ১২ হাজার মানুষ লঞ্চে যাতায়াত করেন। আর এ জন্য সদরঘাটের ৪১টি নৌরুটে অন্তত ১০০টি লঞ্চ চলাচল করবে।

শেয়ার করুনঃ