প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১২, ২০২৫, ৫:০৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৪, ২:০৫ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালী পুলিশের হাতে ভুয়া সচিবসহ ৩ প্রতারক গ্রেফতার
পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য শাকুর হাওলাদার কর্তৃক প্রতারনা মামলায় পুলিশ একজন ভুয়া সচিবসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছেন। তাদের গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়া এলাকা থেকে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন।
গতকাল সোমবার রাত ৯ টার দিকে পটুয়াখালী থানার ওসি মো. জসিম থানা চত্ত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইমাম শাহজাদা সাইফুল ইসলাম (৫০), জসিম হাওলাদার (৩৫) ও আলমগীর হাওলাদার (৪৩)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ী ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
তাদের মধ্যে ইমাম শাহজাদা সাইফুল ইসলাম নিজেকে সরকারের সচিব বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন এবং অপর দু‘জন তাঁর সহযোগী।এদের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা, একটি পাসপোর্ট, একটি ব্যাংকের চেক বহি, প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত একাধিক সীমসহ মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
ওসি মো. জসিম জানান, প্রায় ৬ মাস আগে চক্রের প্রধান হোতা ইমাম শাহজাদা সাইফুল ইসলামের সাথে শাকুর হাওলাদারের পরিচয় হয়। তখন সাইফুল ইসলাম নিজেকে সরকারের সিনিয়র সহকারি সচিব পরিচয় দেন এবং সচিবালয়ে কর্মরত থাকার কথা জানান।
পরবর্তীতে উভয়ের সম্পর্ক কিছুটা গভীর হলে শাকুর হাওলাদারের স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীকে সরকারি চাকুরি ও শাকুর হাওলাদার কে ১টি ট্যাক্স ফ্রি প্রাইভেট কার দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছে ২৮ লাখ টাকা দাবি করে।
শাকুর হাওলাদার এ প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি ব্যাংকের একাউন্টে ও বিকাশ নম্বরে মোট ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৮০ টাকা সাইফুলকে দেয়। পরবর্তীতে চাকুরি ও ট্যাক্স ফি প্রাইভেট কার দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকলে শাকুর হাওলাদারের সন্দেহ হয়। সর্বশেষ ২৬ জানুয়ারি শাকুর হাওলাদার মোবাইলে সাইফুলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সাইফুল টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং শাকুর হাওলাদার কে গালমন্দসহ ভয়-ভীতিও দেখায়। এ ব্যাপারে শাকুর হাওলাদার ২৪ ফ্রেবুয়ারি সাইফুলসহ চারজনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে অবস্থান শনাক্ত করে ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলা থেকে চক্রের প্রধানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, আসামিরা ধুর্ত প্রকৃতির এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে চক্রটি প্রতারনার সাথে সম্পৃক্ত। চক্রের প্রধান হোতা ইমাম শাহজাদা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশের বিভন্ন থানায় ১১ টি প্রতারনার মামলা রয়েছে।