
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নেমেছে র্যাব। ঢাকাসহ সারাদেশে র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, জানমালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা সহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রাজধানী সহ সারাদেশে র্যাব রোবাস্ট প্যাট্রল ও গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
জানা যায়, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে রাজধানীতে ৮৭ টি টহল ও রাজধানীর বাহিরে ১৫৯ টি টহলগাড়ি মোতায়েন রয়েছে।
হরতালের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে র্যাব ২৪৬ টি টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ.ন.ম ইমরান খান।
রবিবার সকালে সরোজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি আগারগাঁও বিজয় স্বরনী, হাতিরঝিল, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলা নগর সহ বিভিন্ন এলাকায় র্যাব-২ টহল জোরদার করেছে। এসব এলাকায় নিরাপত্তার সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করছেন র্যাব ২ এর অধিনায়ক এ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান।
হাতিরঝিল এলাকায় চেকপোস্ট পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিক দের জানান, র্যাব ২ এর আওতাধীন সকল এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিক্ষিপ্ত দু-একটি ঘটনা ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। কেউ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হরতাল ঘিরে কোন নাশকতার গোয়েন্দা তথ্য বা হুমকী নেই। তবে র্যাব সদস্যরা পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে তৎপর রয়েছে। কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এদিকে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে হরতালের শুরু হয়। বিক্ষিপ্তভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। এসময় তারা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও মোহাম্মদপুরে দুটি যাত্রীবাহি বাসে অগ্নি সংযোগ করে।
তবে বিএনপি হরতালের ডাক দিলেও মাঠে তেমন কোন উপস্থিতি নেই নেতাকর্মীদের। এখন পর্যন্ত বিএনপির কোন মিছিল লক্ষ করা যায়নি।
ডিআই/এসকে