
শাপলা চত্বরে নয়, আরামবাগ মোড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবির সমাবেশ। ভোর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা শাপলা চত্বরে আসতে শুরু করে। আরামবাগ মোড়ে আসলে পুলিশি বাধায় সেখানে অবস্থান নেয় সবাই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতা কর্মীদের উপস্থিত বাড়তে থাকে। কমলাপুর থেকে আরামবাগ মোড়ের রাস্তায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। অপরদিকে আরামবাগ থেকে বিএনপির সমাবেশের উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলে গেছে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা।
এ সময় পুলিশও নিরাপত্তা জোরদার শুরু করে। ট্রাক ভড়ে লোহার ব্যারিকেড এনে আরামবাগ মোড়ে সাজিয়ে রাখা হয়। এর আগে থেকেই আরামবাগ এলাকায় শিবির শিবির ও আল্লাহু আকবার স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে মতিঝিলের টয়েনবি সার্কুলার রোডের দিকে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
জামায়াত’র কর্মসুচির বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতকে কোন অনুমতি দেওয়া হয় নাই। দেওয়া হবেও না। তারা সমাবেশের চেষ্টা করলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
শনিবার সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর টিকাটুলি, ইত্তেফাকের মোড়, মতিঝিল ব্যাংকপাড়া, শাপলা চত্ত্বর, নটরডেম কলেজ, আরামবাগ মোড়, রাজধানীর এই পয়েন্টগুলোর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ পুলিশের হাতে রয়েছে। আশপাশের এলাকায় ব্যারিকেড বসিয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ব্যারিকেডের ভেতর এবং আশপাশ দিয়ে কাউকেই যাওয়া আসা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সকালে আরামবাগ মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের সাময়িক মুখোমুখি অবস্থাণে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হলেও এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করছেন।
সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আরামবাগ মোড়ে ৫টি ট্রাক এনেছে শিবির কর্মীরা। ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে দলটির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিচ্ছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জামায়াত শিবির যেখানে (আরামবাগ মোড়) অবস্থান নিয়েছে সেখানে সমাবেশ করে চলে গেলে পুলিশ বাঁধা দিবে না। তবে তারা শাপলা চত্বরে দিকে এগিয়ে আসতে চেষ্টা করলে বাঁধা দিবে পুলিশ।
ডিআই/এসকে