রাজনীতির জনক এ্যারিষ্টটলের সেই চার হাজার বছর আগের কাগজে কলমে লিখে যাওয়া থিউরিতে পৃথিবীর অনেক গনতান্ত্রিক দেশ পরিচালিত হলেও বাস্তবে যেন নেতা আর জনগন সে মুল প্রতিপাদ্য থেকে যোজন যোজন দূরত্বের সৃষ্টি হয়ে যায় অধিকাংশ নেকৃত্বের উষ্ণ চেয়ারে সমাচীন হওয়ার পর। আবার কোথাও নেতা নীতির উপর অটল থাকলেও তার আশপাশে আগলে থাকা উশৃংখল অনুসারীদের কর্মকান্ডে আমজনতা তার থেকে এক সময় মুখ ফিরিয়ে নেয়।
আশুগঞ্জের উর্বর রাজনীতির উর্বর জমিনে দেশ বরেন্য ও উঠতি বয়সের সৎ ও আদর্শবান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করেছে এমন কয়েকজনের মধ্যে প্রয়াত জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন,মাহবুবুল হুদা,লুৎফুল হাই সাচ্চুর হাত ধরে এ যাবত অনেক নেতা-নেত্রী অত্র এলাকার বিভিন্ন পদে সফলতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
এক সময়ের তলাহীন ঝুড়ির অবহেলিত দেশটি থেকে ডিজিটালে রুপান্তরিত হলেও মানুষ এখন উন্নত বিশ্বের দিকে দৃষ্টি দিয়ে তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে স্মার্ট বাংলা গড়ার শতভাগ বাস্তবায়নের দিকে হাটছে।
রাজনীতির মতবিরোধ, অনিয়ম, দূর্নীতি, নিজ দলে একাধিক গ্রুপিং,মামলা হামলার কারনে জনগনের চাহিদা মাফিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অনেকটা ব্যাহত হয়েছে। যার ছোঁয়া থেকে এক সময়ের শান্ত আশুগঞ্জ ভুখন্ডটিও নিস্কৃতি পায়নী। ক্ষমতার টানাপোড়নে অনেক সময় এডিবির অর্থ বা বিভিন্ন রাষ্ট্রের দেয়া অর্থ ফেরত দিতে হয়েছে। এক কথায় যে যার রাজত্বের অধিশ্বর সাজতে জনগনকে এর মাশুল গুনতে হচ্ছে।
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার মনোভাব দূর করতে হবে। যা আশুগঞ্জের রাজনীতিতে প্রবল হয়ে আছে। বিশেষ করে নারী নেতৃত্ব নেই বললেই চলে। রাজনীতির এসব কুৎসিত নিম্নমুখী চেতনার মুলোৎপাটন ঘটিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সোনালী যুগের বিশ্বাসে ভরা রাজনীতির আবার শুভ সূচনা ঘটাতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগের আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর স্নেহধন্য ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া -২ আসনের সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন মঈন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ আসনের সংসদ সদস্য বর্তমান সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর আদর্শে উজ্জীবীত জোসনা চৌধুরী আশুগঞ্জেন আপামর জনতার অনুরোধে এলাকার উন্নয়নসহ পুনরায় সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আসন্ন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা পদে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে উপজেলার ০৮ টি ইউনিয়নে ধারাবাহিক রুপে দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণমুলক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তফসিল ঘোষনার আগ পর্যন্ত তার এ নির্বাচনী প্রচারনা চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিক না থাকায় হানাহানিমুক্ত স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তাছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ও তাই মনে করছেন। ইতিমধ্যে জোসনা চৌধুরীকে শিক্ষক,
বীরমুক্তিযোদ্বা, সাংবাদিক আলেম সমাজ,
বুদ্ধিজীবী, সামাজিক ব্যক্তিত্য,ছাত্র সমাজ,
খেটে খাওয়া দিন-মজুর,মা ও বোনেরা আগামী আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা পদে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং তারা জোসনা চৌধুরীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ সমর্থনের পরিধি আশুগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়নের লোকজনের কাছে বিরাজমান থাকবে নির্বাচনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত এবং তার (জোসনা চৌধুরী) নির্বাচনী প্রচারনার মিশন চলমান থাকবে। জোসনা চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত স্মার্ট আশুগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে উপজেলার প্রায় দেড়লক্ষ মানুষের হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন পুরনে জোসনা চৌধুরী তারকাজের মাধ্যমে প্রমান শতভাগ তাই প্রমান করতে চাই।
আগামী আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে
ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা প্রার্থী হিসেবে আশুগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জোসনা চৌধুরী জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন বলে এলাকাবাসী ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন ।
নারীদের কল্যান ও এলাকার জনসেবার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে অল্প সময়ে সু-পরিচিতি ও খ্যাতি অর্জন করেছেন।দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন নারীদের কল্যানে, পাশাপাশি তিনি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সাধারণ মানুষের সেবায়।
জোসনা চৌধুরী সম্পর্কে আশুগঞ্জ উপজেলা বাসীরা জানান, জোসনা চৌধুরী তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একজন সৎ, ন্যায়-পরায়ন ও জনবান্ধব প্রকৃতির লোক। বিপদে, দূঃসময়ে আমরা তার নিকট থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা পেয়েছি। এলাকায় সামাজিক, পারিবারিক বিভিন্ন কার্যকলাপে তার ভুমিকা অসীম।তিনি নারীদেরকে স্বাবলম্বী করতে গড়েছেন বিভিন্ন নারী সংগঠন। তাদেরকে সেলাই মেশিন শেখানোর পাশাপাশি অন্যান্য কারিগরি দক্ষতায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন এবং তা এখনও পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন । সে জন্যে আগামী আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা হিসেবে উন্নয়নের রুপকার জোসনা চৌধুরীকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকাবাসী দেখতে চাই।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জোসনা চৌধুরী বলেন,আমি দীর্ঘদিন যাবত জনগনের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম এবং বর্তমানে ও আছি।
আমার এই পদে আরো যারা প্রার্থী হবেন তাদের মধ্যে জনগণ যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আমি সকলের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। আমি এলাকার মানুষের যে কোন অভাব-অনটনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। আমার স্বপ্ন এলাকাবাসীর সেবা করা ও সুখে দুঃখে তাদের পাশে থাকা। সে কারনে এলাকাবাসীর সমর্থনের কারনেই আমি আসন্ন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে যাচ্ছি।
ভোটের মালিক জনগণ। তারাই তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন আগামীর নেতৃত্ব। বর্তমান সময়ে সকল স্থানে শিক্ষিত নারীরা দেশের সকল স্থান ছাড়াও বিদেশে ও অনেক সম্মানিত ও মূল্যায়িত হচ্ছে। তরুণ নেতৃত্বই পাল্টে দিচ্ছে সমাজের অসঙ্গতি, আনছে আমূল পরিবর্তন। নারীদের সম্পর্কে জোসনা চৌধুরী বলেন, নারী সমাজকে অপসংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িকতা, অনাচারমুক্ত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ আশুগঞ্জ উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জনকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান সমাজকর্মী ও গরীব মানুষের নিবেদিত প্রান জোসনা চৌধুরী।
আমার এই পদে আরো যারা প্রার্থী হবেন তাদের মধ্যে জনগণ যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আমি সকলের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের এলাকার সন্তান। আমি আপনাদের সুখ ও দুঃখের সাথী হয়ে থাকতে চাই। আপনাদের সবার ভালেবাসা ও সমর্থনের মাধ্যমে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, লেখাপড়া ও খেলাধুলার মান আরো সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যেতে চাই।
আমি আশুগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের সেবা করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছি। আশুগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে আমার সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা ও রয়েছে। সে জন্য আমি আবারও আশুগঞ্জ উপজেলাবাসীর নিকট দোয়া ও শুভকামনা প্রত্যাশা করছি।
