
দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে ঢাকার দুটি প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে প্রবেশ পথগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
সকাল থেকে আমিন বাজার ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় ঢাকার প্রবেশ মুখে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি চৌকি বসাতে দেখা গেছে।
আমিনবাজার ২০ শয্যা হাসপাতালের সামনে চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
আমিনবাজারে পরিচালিত পুলিশের চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মোবাইল, সঙ্গে থাকা ব্যাগপত্র তল্লাশি করছে পুলিশ।
এছাড়া বাসযাত্রীদের কর্মস্থলের আইডি কার্ড দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে, ঢাকাগামী দূরপাল্লার বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, গণপরিবহন, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের প্রতি পুলিশের বিশেষ নজর লক্ষ্য করা গেছে। গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ দিকে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে নামার মুখে ইংলিশ রোডের মাথায় চেক পোস্টের বসিয়ে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। প্রতিটি বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল যাত্রীদের মালামাল ও পরিচয় পত্র দেখা হচ্ছে।
বিপরীত চিত্রের দেখা মিলেছে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় নি। টহল পুলিশ থাকলেও নেই কোনো তল্লাশী চৌকি।
রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার,বলেন, ঢাকার প্রবেশ মুখে চলা তল্লাশী আমামদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। আলাদা করে কোনো চেক পোস্ট নেই।
২৮ অক্টোবর ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, যতস্থরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন ডিএমপির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে বিপ্লব কুমার বলেন, মামলা ছাড়া কেউরে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তবে আমাদের কাছে যদি তথ্য থাকে কোনো ব্যক্তি নাশতার সঙ্গে জড়িত তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। অথবা কোনো ঘটনার তদন্তে নাম আসে তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। কাজেই তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য, মামলার আসামি, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছাড়া কেউরে গ্রেফতার ধরা হচ্ছে না।
ডিআই/এসকে