
প্রেস রিলিজ :
মহান স্বাধীনতার ৫৩ বছর উপলক্ষে “প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত, রাষ্ট্রীয় কেনাকাটায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও সকল পর্যায়ে দুর্নীতি দমন করার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা কার্যকরার আহবান।
১মার্চ বিকাল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতার ৫৩ বছর “প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি ” শীর্ষক আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড, সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়, সভায় ধারনা পত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাক্তার সারওয়ার আলী, আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অর্থনীতিবিদ আর এম দেবনাথ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, এড, পারভেজ হাসেম, জহিরুল ইসলাম জহির, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, সামসুল আলম জুলফিকার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রেজাউল কবির, প্রমূখ।
সভায় অধ্যাপক ড, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মানুষের জীবনে প্রত্যাশাও প্রাপ্তির সমীকরণ ঘটেনি, মূলত সাম্যতা, মানবতা, সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা তা শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে চিরতরে বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে, এখনো তা অব্যাহত আছে।
দেশ এখনো বৈষম্যের পাহাড়ের পথে হাটছে, সরকারের বাজারের উপর নিয়ন্ত্রন হারাচ্ছে ক্রমাতগ, সকল রাজনৈতিক দল ও আমলারা সিন্ডিকেটের সেবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, মানুষ মাফিয়াদের হাতে জিম্মি, মুক্তিযুদ্ধ কে বাঁচাতে হলে সিন্ডিকেট, ধর্মান্ধতা, লুটেরা পূঁজি রুখতে হবে।
রামেন্দু মজুমদার বলেন, জবাবদিহি মূলক রাষ্ট গঠনে সরকারের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, রাষ্টীয় অপচয় রুখতে হবে, প্রয়োজন ব্যতিত কোন মেঘা প্রজেক্ট করা যাবে না, জনগণের কষ্ট হয় এমন কিছু করা থেকে সরকার ও প্রশাসনকে সচেতন থাকতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালগুও আদিবাসীদের বেড়ে উঠার সমান সূযোগ দিতে হবে।
রাজনীতি থেকে ধর্মকে আলাদা করতে হবে। সরকার কে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। অর্নীতিবিদ কাজল দেবনাথ বলেন, ব্যাংকি সেক্টরে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, ব্যাংকিং সেক্টরে তারল্য সংকট নিরসনে ও দূর্নীতি নিরসনের নিরপেক্ষ কমিশন করতে হবে, কৃষি ও কৃষকের মর্যাদা বাড়াতে হবে, খাদ্যপন্য উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে আধুনিক বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমলা নির্ভরতা বন্ধ করে সামজিক শক্তির উত্থান ঘটিয়ে জাতীয় সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে। বৈদেশিক ঋন পরিশোধে জাতীয় আয় বৃদ্ধি কল্পে জাতীয় উদ্যোগ নিতে হবে।মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এনে মানুষের আয় বাড়াতে পারলেই সত্যিকার উন্নয়ন বলে নিশ্চিত করা যায়, মূলত মানুষ কষ্টে আছে সেটা বিবেচনায় নিয়ে তা নিরসনের ব্যবস্তা নিতে হবে।
রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, জাতীয় চার নীতি এখনো অবহেলিত, সকল মানুষের বসবাসের উপযোগী বাংলাদেশ এখনো প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, বহুমাত্রিক সংস্কৃতির মানদণ্ডে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার থাকবে। তা এখনো তলানিতে এসে পড়েছে। এখন দরকার সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করা, সমাজের বিবেকবান নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে, তা হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ও প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
কাজল দেবনাথ বলেন, সকল ধর্মের মানুষের বসবাসের উপযোগী বাংলাদেশ এখনো গড়ে তোলা সম্ভব হয়ে উঠেনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ চাই।,
ঘোষনা পত্রে ডাক্তার সারওয়ার আলী বলেন,অর্থনেতিক ক্ষেত্রে নৈরাজ্য আমাদের শঙ্কিত করে, মূল্যস্ফীতি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে চলছে, সর্ব পর্যায়ে দূর্নীতির ফলে মানুষ এখন দিশে হারা, সরকারের অনেক উন্নয়ন দূর্নীতিও মাফিয়াদের কারনে প্রশ্নবৃদ্ধ।
দেশে বৈষম্যের পাহাড় গড়ে উঠেছে, দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে সরকার জরুরি ভাবে লুটপাট ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।নারীর প্রতি মর্যাদাহানীকর ও সংস্কৃতি বিনাশী প্রচারনা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাকে মূলধারার ফিরিয়ে আনতে হবে, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও গবেষণামূলক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বার্তা প্রেরক:
বিপ্লব চাকমা
দফতর সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন